প্রথম শিরোপা বিমানবাহিনীর
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আম্পায়ারের খেলা শেষের বাঁশি। এরপর মাঠে দুই চিত্র। এক দিকে বিমানবাহিনীর খেলোয়াড়দের শিরোপা জয়ের উৎসব। অন্য দিকে নৌবাহিনীর খেলোয়াড়রা ঘিরে ধরে আম্পায়ারকে। এরপর দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হালকা উত্তেজনা। যদিও বিমানবাহিনীর খেলোয়াড়দের বাঁধভাঙা উল্লাসের কাছে সব চাপা পড়ে যায়। তাদের এই উল্লাসের মাত্রা ছিল ভিন্ন। এই প্রথম তাদের শিরোপা জয়ের স্বাদ। গতকাল প্যারাগন গ্রুপ বিজয় দিবস হকির ফাইনালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা ৫-৪ গোলে হারায় নৌবাহিনীকে। বিমানবাহিনীর হকির ইতিহাসে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এই দলটির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘সেই ১৯৮২ সাল থেকে হকি খেলছে দলটি। তবে এই প্রথম ট্রফি হাতে নেয়া।’ তিন গোল করে দলের এই জয়ে বিশাল ভূমিকা রাখেন সেন্টার ফরোয়ার্ড রাকিবুল হাসান। গত বছর তারা নৌবাহিনীর কাছেই হেরে রানার্সআপ হয়েছিল এই বিজয় দিবস হকিতে। নৌবাহিনীর টানা চারবারের শ্রেষ্ঠত্বে এবার ছেদ পড়ল। খেলা শেষে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি বিমানবাহিনী প্রধান ও হকি ফেডারেশন সভাপতি এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
শক্তিতে এগিয়ে নৌবাহিনী। তাদের দলে জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাসেল মাহমুদ জিমি, মামুনুর রহমান চয়ন, খোরশেদ, সিটুল, রোমান, সারোয়ার, মাইনুলরা। অন্য দিকে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র খেলোয়াড় বিমানবাহিনীতে। জাতীয় দলে খেলা আছেন চার-পাঁচজন। অথচ এদের নিয়েই ৭ মিনিটে জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় তারা। ৪ মিনিটে রাকিবুল গোল দেয়ার পর ৭ মিনিটে স্কোর দ্বিগুণ করেন ওবায়দুল হোসেন জয়।
এরপর দুই দলের পাল্টাপাল্টি গোল উৎসব চলতে থাকে। ১৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে নৌবাহিনীর পক্ষে ব্যবধান কমান আশরাফুল ইসলাম। তবে ৩১ মিনিটে অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় দলের অধিনায়ক এম এম মেহরাব হোসেন সামিন বিমানবাহিনীর পক্ষে গোল করেন। যদিও ৪৭ মিনিটের মধ্যে স্কোর ৩-৩ করে ফেলে নৌবাহিনী। ৩৭ মিনিটে মাইনুল ইসলাম বল পোস্টে পাঠানোর পর ৪৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে নৌবাহিনীকে খেলায় ফেরান ফরহাদ আহমেদ সিটুল। এরপর ৫১ মিনিটে এই সিটুল প্রতিপক্ষের তাসিন আলীকে আঘাত করলে আম্পায়ার তাকে লালকার্ড দেখান।
বিমানবাহিনীর ফরোয়ার্ড রাকিবুল ৪৯ ও ৫৭ মিনিটে আরো দুই গোল করলে ৫-৩ এগিয়ে যায় তারা। তার সবগুলো গোলই ছিল ফিল্ড গোল। মনে হচ্ছিল এভাবেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে বিমানবাহিনী। কিন্তু ৫৯ মিনিটে বিমানবাহিনীর তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি ফিল্ড গোল করলে জমে যায় খেলা। শেষ দিকে তাদের আরো চড়াও হওয়া। তবে সমতা আর আনতে না পারায় প্রথম শিরোপার স্বাদ পায় বিমানবাহিনী।
১১ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোল দাতা হয় নৌবাহিনীর আশরাফুল। আর টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন বিমানবাহিনীর সোহানুর রহমান সবুজ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা