চমক দেখাতে চায় রাজশাহী
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১০
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবশেষ ৩ সংস্করণে খেলা হয়নি রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির। চার বছর পর আবার টুর্নামেন্টে ফিরছে তারা। ২০১৯-২০ বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপরই হঠাৎ নিরুদ্দেশ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০১৬ সালে রানার্সআপ হওয়া রাজশাহী কিংস এবার খেলছে দুর্বার রাজশাহী নামে। দলটির পাকিস্তানি কোচ ইজাজ আহমেদ জানিয়েছেন, ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে এবার তারা চমক দেখাতে চান।
বিপিএলের এগারোতম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে দুর্বার রাজশাহী। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি রাজশাহীর কোচ ইজাজ বলেছেন, ‘এটা টি-২০ ক্রিকেট। এখানে কিছু ভালো ইনিংস বা ভালো বোলিংই আপনাকে জেতাবে। হতে পারে যেকোনো সিঙ্গেল প্লেয়ারই জেতাবে। দলটা বেশ তরুণ এবং ভালো। কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও দলে আছে যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে। যেমন ইয়াসির, তাসকিন, এনামুল হক বিজয়। এরা সবাই দারুণ ক্রিকেটার। হারিস (পাকিস্তানি) আমাদের সাথে যোগ দেবে, সে চলে এসেছে। জিম্বাবুয়ে থেকে রায়ান বার্লও চলে এসেছে। দলে অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যের দারুণ কম্বিনেশন আছে। আশা করি, আমরা ভালো পারফরম্যান্স করে চমক দেখাব।’
দলটির কোচ হতে পেরে দারুণ সম্মানিত বোধ করছেন সাবেক পাকিস্তানি এই ব্যাটার, ‘দুর্বার রাজশাহীর কোচ হিসেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। এটা আমার পঞ্চম বা ষষ্ঠ বাংলাদেশ সফর। টেস্টে সর্বোচ্চ ২০৯ রানের ইনিংস খেলেছি ঢাকা স্টেডিয়ামে। এখানে আমি বেশ পরিচিত ছিলাম। এরপর এখানে এশিয়া ইমার্জিং কাপে আসি, সেটাও জিতি। তাই আমার সময়ে যেসব ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে খেলেছেন, তাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক আছে। তাদের মিস করব। রাজশাহীর কর্ণধারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাকে বেশ সাহায্য করেছেন। আমাকে বেশ কয়েকটি জায়গায় সুবিধা দিয়েছেন। তাই অন ফিল্ড এবং অফ দ্য ফিল্ডে সময়টা ভালো যাবে। এটাও আশা করছি যে ভালো খেলব এবং আমার কোচিং, ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করব।’
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ইজাজ আরো বলেন, ‘এর আগে আমি পিএসএলে কাজ করেছি। প্রথমবার বিপিএলে কাজ করছি এটা আমার জন্য সম্মানের। আশা করব এটা খুবই রোমাঞ্চকর হবে। আশা করি পরের বছরও আসতে পারব। মালিকরা সম্ভবত পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সাজিয়েছে। আশা করি, বিপিএলে তারাও আরামদায়ক হবে।’
পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ইজাজ জানিয়েছেন, নিজের অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মাঝে ভাগ করে দিতে মুখিয়ে আছেন, ‘আশা করব, তারা যেন নিজেদের ক্রিকেট উপভোগ করতে পারে। আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা থেকেও ভালো কিছু নিতে পারে। দলে কিছু ক্রিকেটার আছে যারা নতুন, আর তিন-চারজন ক্রিকেটার আছে আগে বাংলাদেশ দলে খেলেছে; কিন্তু এখন নেই। আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে তাদেরকে আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা দেয়া। বড় কথা হলো খেলাটাকে উপভোগ করতে হবে।’
দুর্বার রাজশাহী
স্থানীয় খেলোয়াড় : এনামুল হক বিজয়, তাসকিন আহমেদ, জিসান আলম, ইয়াসির আলী রাব্বি, সাব্বির হোসেন, সানজামুল ইসলাম, মেহরাব হোসেন, আকবর আলী, মিজানুর রহমান, হাসান মুরাদ, শফিউল ইসলাম ও মোহর শেখ।
বিদেশী : মোহাম্মদ হারিস, সাদ নাসিম, লাহিরু সামারাকুন, আরাফাত মিনহাজ, রায়ান বার্ল ও সালমান মির্জা।
ফরচুন বরিশাল
স্থানীয় খেলোয়াড় : তৌহিদ হৃদয়, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তানভীর ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, রিপন মণ্ডল, এবাদত হোসেন, নাঈম হাসান, রিশাদ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম, প্রিতম কুমার ও ইকবাল হোসেন ইমন।
বিদেশি : জেমস ফুলার, পাথুম নিশাঙ্কা, কাইল মায়ার্স, নান্দ্রে বার্গার, ডেভিড মালান, মোহাম্মদ নবি, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ আলী, খান জাহানবাদ, মোহাম্মদ ইমরান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা