আবার চূড়ায় জ্যোতি
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাকে টপকে যাওয়া সতীর্থ মুর্শিদা খাতুনের ব্যাট থেকে এলো ১৭০ রান। কিন্তু সেই কীর্তি টিকল না বেশিক্ষণ। ১৭১ রান করে আবার বাংলাদেশের নারীদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক হলেন জ্যোতি।
গতকাল মধ্যাঞ্চলের হয়ে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন জ্যোতি। ২১৮ বলে ১১ বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছেন। একই দিনে আরো দু’টি সেঞ্চুরি হয়েছে। মধ্যাঞ্চলের মুর্শিদা খাতুন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন। অন্য মাঠে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সোবহানা মোস্তারি।
এর আগে ওপেনার দিলারা ১০২ রান আর তিথি-সুপ্তার জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান তুলে পূর্বাঞ্চল। জবাবে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ১৭০ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। এরপরই সেঞ্চুরি পান জ্যোতি। তার ও মুর্শিদার জোড়া সেঞ্চুরিতে লিড নিয়েছে মধ্যাঞ্চল। অন্য মাঠে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সোবহানা মোস্তারি। উত্তরাঞ্চলের এই ক্রিকেটার খেলেছেন ১৪৬ বলে ১১৮ রানের ইনিংস।
গতকাল আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের খেলা ড্র হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের ২ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে খেলতে নামে মধ্যাঞ্চল। ম্যাচ সমতায় শেষ হওয়ার আগে তারা প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫২৮ রান করে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে অলআউট হয়।
মধ্যাঞ্চলের ওপেনার মুর্শিদা ও অধিনায়ক জ্যোতির আগে সেঞ্চুরির দেখা পান পূর্বাঞ্চলের ওপেনার দিলারা দোলা। সব মিলিয়ে দুই ইনিংসও পূর্ণ হয়নি। দুই অপরাজিত ব্যাটার মুর্শিদা ১২২ ও জ্যোতি ৬৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের সকালে খেলতে নামেন। ২৬৩ বলে দেড় শ’ স্পর্শ করেন মুর্শিদা। তাকে ফিরতে হয় মধ্যাহ্ন বিরতির আগে। ফাহিমা খাতুনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন ২৮৬ বল মোকাবেলায় ২৩টি বাউন্ডারিতে ১৭০ রান করেন মুর্শিদা। জ্যোতির সাথে তৃতীয় উইকেট জুটি ২২৮ রানের। পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক ফাহিমা এরপর রানের খাতা খুলতে দেননি স্বর্ণা আক্তারকে।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ২১৮ বলে সেঞ্চুরি করেন জ্যোতি। আসরে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। নারীদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে দু’টি সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ইনিংস আরো লম্বা করেন ম্যাচসেরা জ্যোতি। ২৯২ বলে ১৫০ স্পর্শ করে শেষমেশ থামেন মুর্শিদার চেয়ে ১ রান বেশি করে। ৩২২ বল খেলা জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ১৮টি চার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা