২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আকবরের লড়াইটা নিজের সাথেই

মিডিয়ার সাথে কথা বলছেন আকবর : বিসিবি -

চার বছর পর আবারো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিরেছে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। টুর্নামেন্টের সবশেষ তিন সংস্করণে খেলেনি দলটি। ২০১৯-২০ বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালস হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। তারপরই হঠাৎ হারিয়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০১৬ সালে রাজশাহী কিংস হয়েছিল রানার্সআপ। এবার খেলছে দুর্বার রাজশাহী নামে। তাসকিন আহমেদ, রায়ান বার্ল, মোহাম্মদ হারিস, জিসান আলম, আকবর আলীদের নিয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল দুর্বার রাজশাহীর। দলটির উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আকবর দেখছেন দারুণ সম্ভাবনাও। টি-২০-এর বড় বড় তারকাদের নাম না থাকলেও তার মতে, রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয়ার মতো দল।

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের মূলনায়ক আকবর আলী। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সাফল্যটা এসেছিল তার হাত ধরেই। এরপর নিজেকে সে অর্থে মেলে ধরতে পারেননি। তার সেই সময়ের অনেক সতীর্থ জাতীয় দলে থিতু হয়ে গেলেও এখনো ডাক মিলেনি তার। তিনি ভালো করেই জানেন, জাতীয় দলে জায়গা পেতে হলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পেতে হবে।
আকবর মূলত উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার পজিশনে অনেকেই খেলছেন জাতীয় দলে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাস তো রয়েছেনই, জাকের আলীও এখন প্রতিষ্ঠিত। আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন নুরুল হাসান সোহান। জাকির হাসান নিয়মিত টেস্ট দলে। তাই জাতীয় দলে জায়গা পেতে হলে তাদের সাথে লড়াই করতে হবে আকবরকে। তবে আকবরের ভাবনাটা ভিন্ন। ‘আমার মনে হয় না, প্রতিযোগিতাটা অন্য কারও সাথে। আমার মতে, প্রতিযোগিতাটা নিজের সাথে। আমি যদি ভালো করতে পারি, অবশ্যই আমার সুযোগ আসবে।’
নিজের জাত চেনাতে বিপিএলে এবার চার-পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে চান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার, ‘ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করলে আমি মনে করি, পাঁচ নম্বর জায়গাটা খুব ভালো হবে। চার বা পাঁচ নম্বর। এর নিচে না। তবে দিন শেষে দল আমাকে যেভাবে চিন্তা করবে, সেভাবে খেলতে হবে। ব্যক্তিগত ইচ্ছার কথা নেয়া হলে চার বা পাঁচ নম্বরে খেলতেই পছন্দ করব।’

এনসিএল টি-২০তে রংপুর বিভাগের হয়ে বেশ কয়েকটি দারুণ ইনিংস খেলেছেন আকবর। তার নেতৃত্বে আসরের শিরোপাও জিতে নেয় দলটি। গুঞ্জন রয়েছে বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে। প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখবেন বলে জানান তিনি, ‘এটা ভাবতে হবে। ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রস্তাব এলে আমি অবশ্যই ভেবে দেখতে পারি। টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে সবকিছু চাচ্ছে, এর ওপর এসব নির্ভর করছে।’
এ দিকে রাজশাহীর কোচ হিসেবে আসছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইজাজ আহমেদ। তার কাছ থেকে শিখে নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানান আকবর, ‘বিপিএল অবশ্যই ব্যস্ত একটা টুর্নামেন্ট। এখানে অনুশীলন করার খুব কম সময় পাওয়া যায়। যে অল্প সময়টাই পাব, ওটাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। তার যে অভিজ্ঞতা, টেকনিক ছিল- চমৎকার একজন ক্রিকেটার। এগুলো নেয়ার চেষ্টা করব। তিনি যে পয়ামর্শগুলো দেবেন, নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করব।’
রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয়ার মতো দল কি না? ‘আপনি যখন একটা দলে খেলবেন, সেই দলটা নিয়ে আপনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আশাবাদী হতে হবে। আমরাও আমাদের দল নিয়ে আশাবাদী। টি-২০ এমন একটা খেলা, যেখানে আপনি কাগজে-কলমে দল বানিয়ে ফল বের করতে পারবেন না। মাঠের খেলাই মূল।’

দলের সম্ভাবনা কতটা দেখেন ? ‘টি-২০ খুব অল্পসময়ের খেলা। পুরোটাই নির্ভর করে যে, কোন দলটা দ্রুত মোমেন্টাম নিতে পারে।’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে আকবরের বক্তব্য, ‘এইচপি ক্যাম্প যেটা ছিল, এখানে আমি সাদা বলে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। রাজিন স্যারের সাথে কাজ করেছি। সোহেল স্যারের সাথেও। এইচপিতে সাদা বলেই আমার মূল মনোযোগ ছিল। সাদা বলে খেলতে গেলে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কিছু কাজ করতেই হবে। ব্যাট সুইং বা এসব কিছু জিনিসে পরিবর্তন আনতে হয়- সেটাই করেছিলাম।’


আরো সংবাদ



premium cement