বিপিএল মঞ্চে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়াজয়ীরা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বয়সে তরুণ হলেও এশিয়া কাপে খেলেছেন বড়দের মতো। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলোয় আসেন ইকবাল হোসেন ইমন, আজিজুল হাকিম তামিম, জাওয়াদ আবরার, ফাহাদ। অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে এশিয়ার সেরা হওয়ায় তাদের ভাগ্যের চাকাও ঘুরেছে। বিসিএল টি-২০ টুর্নামেন্টের পর বিপিএল টি-২০ টুর্নামেন্টেও খেলার বড় সুযোগ রয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯-এর চার ক্রিকেটারের।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে এশিয়া কাপজয়ী দলের ৮ থেকে ৯ জন ক্রিকেটারের। ফরচুন বরিশাল নিয়েছে ইমনকে, রংপুর রাইডার্সে খেলবেন তামিম। জাওয়াদ আবরার খুলনা টাইগার্স ও আল ফাহাদের সাথে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের চুক্তি।
এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পছন্দের ক্রিকেটার দলে পেতে। এনসিএল টি-২০ দলের কোচদেরও চোখ ছিল যুবাদের ওপর। তামিম, ইমন, জাওয়াদ, ফাহাদের এনসিলে খেলার সুযোগও হয়েছিল। টুর্নামেন্টজুড়েই খুব ভালো খেলেছেন তামিম। খুলনা বিভাগের হয়ে ৯ ম্যাচে ২৩৭ রান করেন তিনি। ফিফটিও আছে দুটি (৫৩ ও ৬৬)।
পেসার ইমন ঢাকা বিভাগের হয়ে ছয় ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। সেরা পারফরম্যান্স রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ২৬ রানে ৩ উইকেট। ঢাকা বিভাগে খেলেছেন ওপেনার জাওয়াদও। তিন ম্যাচ খেলা জাওয়াদের ইনিংসগুলো হলো ১১, ৬২ ও ৩২ রানের। ঢাকা মেট্রোতে খেলা আল ফাহাদ ম্যাচ পেয়েছেন একটি। এভাবেই ক্রিকেটের সব শাখায় বিচরণ করছেন ইয়ং টাইগাররা।
ইয়ুথ ক্রিকেট লিগে তিন দিনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। বিদেশী দলের সাথে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ওয়ানডে ম্যাচের পাশাপাশি চার দিনের ম্যাচও খেলেন তারা। চর্চায় ছিল না শুধু টি-২০ খেলা। বিসিবি কর্মকর্তারা চান, বিপিএলেও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের কোটা রাখতে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বিভাগীয় ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম মানব বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়দের সব দলে নেয়া ও খেলানোর একটা ব্যবস্থা করার। গভর্নিং থেকে বিষয়টি অনুমোদন দিলে সুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে দেশী ক্রিকেটার ১৫ জন করা হতে পারে।’
বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগও চেষ্টা করছে বড়দের ক্রিকেটে যুবাদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করতে। গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু ইমাম মো: কাউসার বলেন, ‘ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিতে স্লট সাজিয়েছি। ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশী দলের সাথে কোনো সিরিজ রাখা হয়নি; যাতে ছেলেরা বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারে। তিন চারজন আছে প্রথম বিভাগে খেলবে। ইংয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (ওয়াইসিএল) খেলবে কয়েকজন। আগামী বছর মে, জুন থেকে স্কোয়াড চূড়ান্ত করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হবে।’
এ মুহূর্তে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিপিএলের মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্রিকেটারদের সাথে যুবদলের ক্রিকেটারদের পরিচিত করা। প্রতিটি দলে এক বা একাধিক ক্রিকেটার থাকলে ড্রেসিংরুম শেয়ারের পাশাপাশি খেলার উত্তাপটা পাবেন তরুণরা। মারুফ মৃধা আগেই বিপিএলে দল পেয়েছেন। যদিও বয়সের কারণে ১৯ দলে আর থাকছেন না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা