২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

খেলা নিয়মিত চান জিমিরা

-


মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফ আবার সরগরম। শুরু হয়েছে বল স্টিকের লড়াই। প্যারাগন বিজয় দিবস হকি দিয়ে গত পরশু হকির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির মাঠে খেলা গড়ানো। আর প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২৩ বিশ্বকাপ হকিতে কোয়ালিফাই করার পর প্রথম ঘরোয়া আসর। স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ উৎফুল্ল হকি খেলোয়াড়রা। সাত মাস পর যে তারা আবার ময়দানি লড়াইয়ে। তবে এভাবে বাংলাদেশের হকি এগোবে না। বিশ্বকাপ আর অলিম্পিক গেমসের আদলে চার বছর পরপর লিগ হলে ধূমকেতুর মতো হঠাৎ হঠাৎ সাফল্য আসবে। এরপর আর তার ধরেও রাখা যাবে না। তাই হকির উন্নতির জন্য এবং আগামী বছর বিশ্বকাপে ভালো করতে লিগ ও ঘরোয়া জাতীয় টুর্নামেন্টগুলো নিয়মিত করার দাবি হকি খেলোয়াড়দের।

জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং বর্তমানে নৌবাহিনীতে কর্মরত তারকা হকি খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি। তিনি অবশ্য খেলাকে নিয়মিত মাঠে রাখার বিষয়টিকে দাবি বললেন না। তার মতে, ‘এটা ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব খেলা নিয়মিত করা। অলিম্পিক গেমসের মতো চার বছর পরপর লিগ করলে দেশের হকি কিভাবে এগোবে।’ পুরান ঢাকায় জন্ম নেয়া জাতীয় দলের সাবেক কোচ আবদুর রাজ্জাক সোনা মিয়ার ছেলে জিমি বলেন, ‘আমরা যারা নৌবাহিনীতে তারা ভালোই আছি। কিন্তু বেকার হকি খেলোয়াড়দের খবর কয়জনে রাখে। কিছু খেলোয়াড় আছে তারা পারলে বিনা পয়সায় খেলে দিবে। কারণ তাদের রক্তে যে হকি। ভুলতেতো পারবে না।’ তার দেয়া তথ্য, ৭ বছরে তিনটি লিগ খেলেছি। ২০১৮, ২০২১ এবং ২০২৪ এ। এভাবে কিভাবে হকি সামনে যাবে।

ডিফেন্ডার ইমরান হাসান পিন্টুর মতে, ‘হকি ফেডারেশনের নির্দিষ্ট টার্গেট থাকতে হবে। টার্গেট ছাড়া কিছুই হবে না। আমরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছি। সেখানে ভালো করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সাথে লিগ টুর্নামেন্টও নিয়মত করার দাবি জানাচ্ছি।’ পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট আশরাফুলের বক্তব্য, আমরা হকি খেলোয়াড়রা লিগ খেলে কত টাকা আর পাই? প্রতি লিগে ৩-৪ লাখ টাকা। সেই লিগ যদি তিন-চার বছর পরপর হয় তাহলে হিসাব করুন সেই টাকা ভাগ করলে মাসে কত আসে। আর জাতীয় দলে ক্যাম্প করলে দিনে চার শত টাকা পাই। যেখানে একজন দিনমজুরের দৈনিক পায় সাত শত টাকা। তাহলে বলুন কেন আমরা হকি খেলব।’ গোলরক্ষক অসীম গোপ জানান, হকি ফেডারেশনকে দুই লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। এক, অনূর্ধ্ব-২১ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। তাদেরকে আরো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলাতে হবে। দুই ঘরোয়া লিগ/ টুর্নামেন্ট নিয়মিত করা।

হকির স্বার্থে ফেডারেশনের প্রতি জাতীয় দলের সাবেক কোচ মাহাবুর হারুনের পরামর্শ, ‘প্রতি বছরই আয়োজন করতে হবে লিগ, জাতীয় হকি চ্যাম্পিয়নশিপ ও জাতীয় যুব হকি চ্যাম্পিয়নশিপ। তাহলে নতুন খেলোয়াড় যেমন উঠে আসবে তেমনি এই খেলোয়াড়রা লিগ খেলে পয়সা পাবে।’ সে সাথে জাতীয় ও যুব হকি জেলায় জেলায় করার দাবি তার। তার মতে, এতে সারা দেশে হকির ব্যাপক সাড়া পড়বে। জিমিও দাবি জেলায় জেলায় জাতীয় হকি আয়োজনের। সে সাথে অনূর্ধ্ব-২১ দলের ব্যাকআপ খেলোয়াড় তৈরিতেও জোর দেন এই সেন্টার ফরোয়ার্ড।
আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শাহবাজ আলী জানান, ‘এতদিন পর মাঠে ফিরে বাঁশি বাজাতে পেরেছি এটাই তো ভালো লাগা। খেলা মাঠে থাকলে আমরা আম্পায়ররা আপগ্রেড থাকতে পারি, প্ল্যান করতে পারি, বিদেশে গিয়ে হ্যাজিটেশন করতে হয় না। অনেক দিন পর আম্পায়ার্স রুমের আম্পায়ারদের সরব উপস্থিতি ভালো লেগেছে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশে দিলো ছাত্ররা রাজনীতিতে আ’লীগের আর ফেরা সম্ভব না : ফজলুর রহমান হাইতিতে হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৩ দূষিত বাতাসের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা পৌষের প্রভাতের আলোয় শীতের জয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবাইকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্যারিস্টার ফুয়াদের ছবি সম্পাদনা করে নয়া দিগন্তের নামে ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক এবার ভারত ঘেঁষা মিয়ানমারের চিন রাজ্যের দখল আরাকান আর্মির ৩৬টি রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী মিরপুরে জেনেভা ক্যাম্পে আগুন 

সকল