২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সেই রিশাদই এখন উইকেটের শীর্ষে

-


‘লেগ স্পিনারকে কেন দলে নেবে একটি দল। ম্যাচে ১০ ওভারে যদি তারা ৭০ রানের ওপরে দেয় তাহলে তাদেরতো খেলাবে না কোনো টিম।’ বাংলাদেশে কেন কোনো লেগ স্পিনার উঠে আসছে না? এর উত্তরে বেশ কয়েক মাস আগে এমন মন্তব্য করেছিলেন বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়কের এমন মন্তব্য ছিল দেশের উঠতি লেগ স্পিনারদের জন্য অশনি সঙ্কেত। তবে এমন নেতিবাচক বার্তার পরও বাংলাদেশ দলে এখন নির্ভরতার নাম লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট সিরিজে তিন ম্যাচের টি-২০তে তার শিকার ৬টি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তার কৃতিত্বেই বাংলাদেশের জয়। পরশু তৃতীয় ম্যাচে নেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে রোস্টন চেজ যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন তখন দুই উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের থামান দীর্ঘদেহী এ রিস্ট স্পিনার। এ বছর বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-২০তে ৩৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি, যা এ ফরমেটে টাইগারদের সর্বোচ্চ উইকেট। এ বছর বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে শেষ টি-২০ ম্যাচ। তাকে টপকে যাওয়ার আর কোনো সুযোগই নেই, অন্য কোনো টাইগার বোলারের। ৩০ উইকেট নিয়ে এর পরেই অবস্থান তাসকিন আহমেদের।

লোয়ার অর্ডারে নেমে বিশাল বিশাল ছক্কার জন্য নামডাক শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে আর সেই ধারায় থাকা হয়নি রংপুরে জন্ম নেয়া অলরাউন্ডারের। এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে এবং টি-২০তে ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। তিন টি-২০তে তার স্কোর ০, ৫ ও ২। ৫ রান করার দিনে আউট হন। বাকি দুই ম্যাচে ছিলেন অপরাজিত। দুই ওয়ানডের একটিতে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি। অপরটিকে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে। ওয়ানডেতে বল হাতে ছিলেন ব্যয়বহুল। এক ম্যাচে ৬৯ রানে দু’টি এবং অপরটিতে ৫৩ রানে ১ উইকেট পান। সেখানে মারদাঙ্গার টি-২০তে তার বোলিং ছিল ভীতি জাগানিয়া। প্রথম টি-২০তে ৩২ রানে ১ উইকেট। পরেরটিতে ১৭তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আউট করেন রোস্টর চেজ ও গুদাকেশ মতিকে। কুইকারে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন চেজের। তার ৩ ওভারে ১২ রানে পড়ে ২ উইকেটের। শেষ টি-২০তে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেটের পতন।

এ বছর মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০তে উইকেট নেয়া শুরু । এরপর চলছে তার উইকেট শিকার। তবে এখনো ৫ উইকেট নেয়া হয়নি। ৫ বার ৩টি করে উইকেট নেয়া। তার প্রথম টি-২০ উইকেট নেয়া ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডেব্যু ম্যাচে।
এ বছর ২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৩৫ উইকেট নেন তিনি। তাসকিন নিয়েছেন ১৯ ম্যাচের ১৯ ইনিংসে ৩০ উইকেট। রিশাদের আগে টি-২০তে এক বছরে সর্বোচ্চ ২৮ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তা ২০২১ সালে। ২০ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সে বছরই ১৮ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক টি-২০তে রিশাদের সাথে এ বছর সর্বোচ্চ ৩৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব আছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পার। রিশাদ এ বছর সর্বোচ্চ জাম্পার সাথে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী নাও থাকতে পারেন। যদি ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নিজের ৩৪ উইকেটের সাথে আরো দু’টি উইকেট যোগ করতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement