জয়ের জন্য ৩ বিভাগেই সেরাটা চান সৌম্য
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অ্যান্টিগায় হারলেও জ্যামাইকাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা এনেছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে সিরিজে ছন্দই খুঁজে পায়নি সফরকারীরা। সবশেষ কয়েক বছরে কেবলমাত্র ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন টাইগাররা। অথচ সেটিতেও ঘুনে ধরেছে। ওয়ানডেতে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একেবারে হারতে ভুলে যাওয়া বাংলাদেশই কি না হলো হোয়াইটওয়াশ।
সেন্ট কিটসে ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ এখন অবস্থান করছে সেন্ট ভিনসেন্টে। টি-২০ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লিটন দাসের দল। টেস্ট ও ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ নেতৃত্ব দিলেও বিসিবি টি-২০তে আস্থা রেখেছে এই কিপার ব্যাটারের ওপর। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৬টায় সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টি-২০তে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গতকাল অনুশীলনের পর দলের ওপেনার সৌম্য বলেছেন, ‘ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামব আমরা।’
সেন্ট কিটসে প্রথম ম্যাচে লড়াইয়ের আভাস দিলেও শাই হোপ ও শেরফান রাদারফোর্ড মিলে সব ছাপিয়ে গেছেন। পরের ম্যাচে তো ব্যাটররা দাঁড়াতেই পারেননি। শেষ ওয়ানডেতে যখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই তখন সফরকারীদের পুঁজি ৩২১ রান। আমির জাঙ্গু, কেসি কার্টি ও গুডাকেশ মোতির ব্যাটে সেটাও অনায়াসে পেরিয়ে গেছে ক্যারিবিয়রা। অধিনায়ক মিরাজ এমন হার বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও হজম করতে পারছিলেন না বাংলাদেশের হার। তবে পুরো সিরিজে কোনো ম্যাচেই একসাথে পারফর্ম করতে পারেননি ক্রিকেটররা। ব্যাটাররা ভালো করলেও বোলাররা ছিলেন মলিন। তিন ম্যাচেই ক্যাচ মিস কিংবা বাজে ফিল্ডিং ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে টি-২০ খেলতে নামার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজে হারাতে তিন বিভাগের কাছ থেকেই ভালো পারফরম্যান্স আশা করলেন সৌম্য সরকার।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় বাঁ হাতি এই ওপেনার বলেন, ‘পরশু (আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর) থেকে আমাদের টি-২০ সিরিজ শুরু হচ্ছে। কারা বড় দল, কারা ছোট দল সেটার থেকে বড় কথা হচ্ছে কারা ২০ ওভার, ৪০ ওভার ভালো খেলবে মাঠে। ওইটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা যদি তিন বিভাগেই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো করতে পারি, দল হিসেবে ভালো করতে পারি তাহলে আশা করি তাদেরকে আরামসে হারাতে পারব। ওরা টি-২০তে ভালো দল। ওদের চেয়ে আমরা আমাদের দিকে মনোযোগ দিতে পারলে, সেরাটা দিতে পারলে ম্যাচ জিততে পারব।’
৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত ৩০০ কিংবা এর কাছাকাছি যেতে পারে না বাংলাদেশ। তবে প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রান করা সফরকারীরা শেষ ম্যাচে করেছিল ৩২১ রান। হোয়াইটওয়াশ হলেও তাই এটাকে ভালো দিক হিসেবে দেখছেন সৌম্য। ‘ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলে আসছিলাম; কিন্তু লাস্ট দুই-একটা সিরিজ ভালো যায়নি। তার মধ্যেও একটা ভালো জিনিস আছে আমরা ব্যাটাররা ৩০০ রান করছি- এটাও একটা ভালো দিক।’
টেস্ট সিরিজে সমতায় ফিরতে বল হাতে আলো ছড়িয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলামরা। তবে ওয়ানডে সিরিজের পুরোটা জুড়েই মলিন ছিলেন না। শুরুতে বেশ কয়েকটি উইকেট এনে দিলেও মাঝের ওভারগুলোতে একেবারেই উইকেট তুলতে পারেননি। যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজও সহজেই তিন ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে। সৌম্য মনে করেন, ওয়ানডেতে ভালো না হলেও বোলাররা টি-২০তে কামব্যাক করবেন।
সৌম্যের কথায়, ‘আমাদের বোলাররা সবসময় ভালো করে আসতেছিল। এই সিরিজে হয়ত তারা একটু স্ট্রাগল করেছে। আমি আশা করি তারা সামনের টি-২০তে কামব্যাক করবে। পাশাপাশি আমরা ব্যাটাররা যারা রান করছিলাম বা রান করছে সবাই যেহেতু আমরা ওয়ানডেতে ৩০০ রান করছি এটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ভালো একটা সিরিজ হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা