হ্যাটট্রিক জয় মেট্রোর
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও আজিজুল হাকিম তামিমকে ফিরিয়ে নিজের কাজটা করে দিয়েছেন আলিস আল ইসলাম। চার ওভারে ২৪ রান খরচায় ঢাকা মেট্রোর স্পিনার নিয়েছেন তিন উইকেট। বোলিংয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন রাকিবুল হাসান, মারুফ মৃধারা। খুলনার এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসানদের সোহানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ছয় রানের জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা মেট্রো। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-২০-এর তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে নাঈম শেখরা।
সিলেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোকে ইমরানুজ্জামান (৪৬), নাইম (২৫), ইমন (২২) ও শামসুর রহমান শুভ (২৬) ১৪৬ রানের পুঁজি এনে দেন। খুলনার মেহেদী হাসান রানা তিনটি এবং দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন আল আমিন হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয়।
জয়ের জন্য ১৪৭ রান তাড়ায় ১৮ ওভারের ম্যাচে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানে থামে খুলনা। ছয় রানে ম্যাচ জিতে নেয় মেট্রো। আলিস তিনটি এবং রাকিবুল নিয়েছেন দু’টি উইকেট।
সিলেটের টানা তৃতীয় হার শীর্ষে রংপুর
এনসিএল টি-২০তে হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে সিলেট। এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই হারল দলটি। তৃতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হেরেছে। আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১২০ রান করে সিলেট। সেই লক্ষ্য ২৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় রংপুর।
রংপুর এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে। এই ম্যাচে রংপুরের জয়ের নায়ক নাঈম ইসলাম। বাংলাদেশের এক সময়ের তারকা এই ব্যাটার ৩৫ বলে ৫০ রানের ইনিংসে রংপুরকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এ ছাড়া আবদুল্লাহ আল মামুন শেষদিকে ১২ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে রংপুরের জয়ে বড় অবদান রাখেন। অধিনায়ক আকবর আলী ১১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। সিলেটের হয়ে ইবাদত দু’টি, একটি করে উইকেট নেন তোফায়েল ও আসাদুল্লাহ আল গালিব ও রাহাতুল ফেরদৌস।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২৯ রান পায় সিলেট। তৌফিক খান তুষার ১২ রান করে ফিরলেও জিসান আলম করেন ৩১ রান। এই দুই ব্যাটার ফেরার পরই বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। দলীয় পঞ্চাশের আগেই তারা আরো দুই উইকেট হারায়। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৮ বলে ৫১ রান করেন। সিলেটের আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি।
ফাহাদে চট্টগ্রামের সহজ জয়
স্বীকৃত টি-২০তে নিজের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে ফাহাদ হোসেন যে পারফর্ম করেছেন, তাতে অভিজ্ঞদের চোখও ছানাবড়া হওয়ার কথা। বল হাতে তিনি চার উইকেট তুলে নিয় গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকা বিভাগকে। তারা অলআউট হয় ৬৪ রানে, যা বিনা উইকেটেই তাড়া করে জিতে যায় চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ৩৭ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রান করেন। তামিম ইকবাল ২৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। এটা চট্টগ্রামের টানা দ্বিতীয় জয়। আগের ম্যাচে সিলেট বিভাগকে ১২ রানে হারিয়েছিল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচে টস জেতে চট্টগ্রাম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই শুরু হয় ফাহাদের তাণ্ডব। চার ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে নেন চারটি উইকেট। প্রথম ওভারে আশিকুর রহমান শিবলিকে এলবিডব্লিউ করার পর দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই বলে আউট করেন আরিফুল ইসলাম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো এই পেসার দলীয় পঞ্চম ওভারে ঢাকার অধিনায়ক সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে দেন। আর তাতেই দিশেহারা হয়ে পড়ে ঢাকা। ফাহাদের সাথে ইফরান হোসেন, মাহমুদুল হাসান জয় ও আহমেদ শরিফ দু’টি করে উইকেট নেন। ঢাকার ইনিংসে তাইবুর রহমান ৩০ রান করলেও আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
বরিশালকে জেতালের রাব্বি-মাজিদ
রাজশাহীর জন্য মঞ্চটা গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ৮১ রানের দারুণ ইনিংসে ভর করে দলটা তুলেছিল ১৮৪ রান। তবে ফজলে মাহমুদ রাব্বি শান্তর সেই ইনিংস ম্লান করে রাজশাহীকে উপহার দিলেন একরাশ হতাশা। রাব্বি-আবদুল মজিদের দারুণ দুই ফিফটিতে বরিশাল তুলে নিয়েছে পাঁচ উইকেটের দারুণ এক জয়।
সিলেটের অ্যাকাডেমি মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর হয়ে বরিশালের বিপক্ষে শুরুটা বেশ দেখেশোনে করেছিলেন শান্ত। সময়ের সাথে সাথে আগ্রাসী হয়েছেন বোলারদের ওপর। ইনিংস শেষ করেছেন ৫৪ বলে পাঁচটি চার আর চারটি ছক্কায় ৮১ রানে। এ ছাড়াও হাবিবুর রহমান সোহানের ৩৩ বলে ৪৭ ও সাব্বির হোসেনের ১১ বলে ২৩ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে রাজশাহী পাঁচ উইকেটে ১৮৪ রান করে।
জবাবে বরিশালের ইফতেখার ইফতি ও মজিদ ৯ ওভারে করেন ৭৯ রান। এরপর রাব্বি-মজিদ হাল ধরেন। দলীয় ১১২ রানে মজিদ ফিরলেও রাব্বি ছিলেন শেষ পর্যন্ত। তার ঠাণ্ডা মাথায় করা ফিফটি বরিশালকে কক্ষপথে রাখে। ৩৪ বলে তিনটি করে চার আর ছক্কায় সাজানো তার এই ইনিংস শেষ হয় ১৯তম ওভারের শেষ বলে। ততক্ষণে বরিশালের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। পঞ্চম উইকেটে ১২ রানের জুটিতে ভর করে বরিশাল পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় তিন বল হাতে রেখেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা