তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২
গত ২ বছরে ৪৪ ওয়ানডেতে ১৬ জয়, হার ২৫টি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ১২ ওয়ানডের ৮টিই হেরেছে বাংলাদেশ। এমন অস্বস্তিকর পরিসংখ্যান সঙ্গে নিয়েই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল।
চলতি বছর আর কোন ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। আগামী ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতা ভালো হয়নি, বলতে গেলে তিক্ত অভিজ্ঞতা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আইসিসির অন্যতম শীর্ষ ইভেন্টের আগে প্রস্তুতি হলো জঘন্য। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে পা রাখার আগে ওয়ানডেতে তাদের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের পর কোনো ওয়ানডে সিরিজও হারেনি। তারাই কি না টানা তিন ম্যাচে হেরেছে। সেন্ট কিটসে বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স টিম ম্যানেজমেন্টের অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-২০র চেয়ে ওয়ানডেতে ভালো দল, এমন দাবি নিজেদেরই। দলটির ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফের সদস্য এমনকি বোর্ড পরিচালকরাও এই কথা শুনিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের সংস্করণেও নাজুক অবস্থা। শুধু এই সিরিজই নয়, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সফরের আগে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে স্কোয়াডের নিয়মিত ক্রিকেটারদের অনেকেই নেই। চোটের কারণে ছিলেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও তৌহিদ হৃদয়। ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনিশ্চত। আছে। সবমিলিয়ে মূল ক্রিকেটারদের ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ প্রস্তুতি সিরিজে নেমেছিল টাইগাররা। ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। শান্ত, মুশফিক, মোস্তাফিজ ও হৃদয়ের মতো খেলোয়াড়ের অভাব অনুভূত হয়েছে। মিরাজ স্বীকার করেন, ‘চারে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব আমাকেই নিতে হতো। সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি আমাদের জন্য কঠিন ছিল।’
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ক্রিকেটারদের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রান করেও ৫ উইকেটে হারের কারণ হিসেবেও মিরাজ বলেছিলেন মাঝের ওভারে ভালো বোলিং করতে না পারার কথা। শেষ ওয়ানডেতে ৩২১ রান করে চার উইকেটে হেরেও সেই কথা বললেন তিনি।
ওপেনিং জুটির কথা নুতন করে বলার নেই। বছর ধরেই ভোগাচ্ছে দলকে। উইন্ডিজ সিরিজে সাবলিল ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সিনিয়র একজনই দুবার দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিয়েছেন। শেষ ম্যাচে তো ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। সর্বোচ্চ রান তার ঝুলিতে। মিরাজ, জাকের আলী, সৌম্যের ধারাবাহিকতা ছিল না। মিরাজের মুখ থেকে প্রতিবারই শুনতে হয়েছে ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা।
আফগানিস্তান সিরিজে অংশ নেয়ার আগেই শান্ত বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিভাবে খেলতে হবে তার একটা ধারণা পেতে চান সদ্য শেষ হওয়া দুই সিরিজ থেকে। আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশের যে পারফরম্যান্স, তাতে করে ধারণা করা যায় শান্তরা আসলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কেমন করবেন? এমন পারফরম্যান্সে শঙ্কা উঠছেই, আগের টুর্নামেন্টগুলোর মতোই কি হতে যাচ্ছে শান্ত-মিরাজদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতা!
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে মিরাজ বলছিলেন, ‘এই সিরিজের পরই আমাদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আমরা জানি, আমাদের কোথায় উন্নতি প্রয়োজন। আশা করি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা বুঝতে পারব কিভাবে সেসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এই সিরিজে আমরা কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়কে মিস করেছি। আমাদের সবার দায়িত্ব নিতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা