তামিমের হাফ সেঞ্চুরির ‘হাফ সেঞ্চুরি’
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
প্রায় সাত মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে মাত্র ১৩ রান করে তামিম ইকবাল হতাশ করেছিলেন ভক্তদের। তবে গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে সেই হতাশাকে রূপ দিলেন আনন্দে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টি-২০তে নিজের ৫০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। তার ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ম্যাচও জিতেছে চট্টগ্রাম। এনসিএল টি-২০তে সিলেটকে ১২ রানে হারায় তামিমের দলটি।
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে স্বীকৃতি টি-২০তে ৫০ ফিফটির কীর্তি গড়েছেন। নিজের কীর্তি নিয়ে তামিম বলেন, ‘পঞ্চাশটা পঞ্চাশ বড় কিছু। আমার ক্যারিয়ারের এমন একটা স্টেজে, আমাকে যে দল নেয় তাদের জন্য ভালো করতে হয়, তরুণ ক্রিকেটারদেরও সাহায্য করার চেষ্টা করি। অর্জনটা খুব ভালো। আশা আছে, পরের দুই-তিনটা ম্যাচ ভালো করতে, তার পর বিপিএল।’
সিলেটের আউটার মাঠে আলোক স্বল্পতার কারণে ১৫ ওভারে নেমে আসা এই ম্যাচে তিনটি বিশাল ছক্কার সঙ্গে আটটি চারে, ১৯৬ স্ট্রাইক রেটে ঝড় তোলেন তামিম। আগের ম্যাচে কম রানে ফিরলেও দ্বিতীয় ম্যাচে স্বরূপে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে করেন ৩০। ২৭ বলে মাহফুজুর রাব্বিকে চার হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেননি তামিম। তোফায়েল আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন।
১০.২ ওভারে তামিম যখন ফিরেন তখন চট্টগ্রামের রান ১০৬। এরপর অবশ্য দ্রুতগতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে দলটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সিলেটের খালেদ আহমেদ ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জিসান আলম এ দিন প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন। ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয় দলটি। ৩৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তৌফিক। হাসান মুরাদ ও নাঈম তিনটি করে ও আহমেদ শরিফ দুটি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ম্যাচেই রানে ফেরায় খুশি তামিম। ম্যাচ শেষে দেশসেরা এই ওপেনার বলেন, ‘আমার জন্য গেম টাইম ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে আমি চারটা-পাঁচটা ম্যাচ যা-ই হয় খেলব। কারণ অনেক দিন বাইরে থাকলে আপনাকে অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়। প্রথম ম্যাচ গেল, দ্বিতীয় ম্যাচ আলহামদুলিল্লাহ ভালো হলো। পরের দুইটা কিংবা তিনটা ম্যাচ যা-ই খেলি, আমার জন্য গেম টাইম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিপিএলের জন্য, এনসিএল টি-২০ জন্য।’
ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএলে খেলতে মুখিয়ে আছেন তামিম। ‘আমি যখনই সুযোগ পাই খেলি। যেহেতু টেস্ট ক্রিকেট খেলি না, তাই এনসিএল খুব বেশি খেলা হয় না। কিন্তু আমি যখনই সুযোগ পাই চিটাগংয়ের হয়ে খেলি। যে জায়গা থেকে আমি বড় হয়েছি, খেলা শিখেছি- চিটাগং ইজ ভেরি স্পেশাল।’
তামিমের এই ম্যাচটি সরাসরি মাঠে বসে দেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ম্যাচ শেষে তামিমের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার খেলা নিয়ে নান্নু বলেন, ‘জাতীয় দলে ফেরার সিদ্ধান্তটা তামিমকেই নিতে হবে। ওর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যেকোনো দলের জন্যই অনেক মূল্যবান। মাত্র খেলা শুরু করেছে, তাই ফিটনেসটা আরও ভালোভাবে দেখতে হবে। ফিটনেসের উন্নতি হলে সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তামিম যেভাবে ব্যাটিং করেছে, দেখে মনে হয়নি সাত মাস পর ক্রিকেটে ফিরেছে। ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নেই। তাদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা