১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানে জয় খুলনার

-

এনামুল-সোহানরা সেট হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি খুলনার ব্যাটাররা। জবাবে নামা বরিশালও নাগালে পাওয়া লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি। জয়ের জন্য শেষ তিন বলে মাত্র ২ রান দরকার ছিল বরিশালের। কিন্তু তিন ব্যাটারকে পর পর রান আউট করে ১ রানে জিতেছে খুলনা বিভাগ।
গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা বিভাগ। ওপেনার এনামুল ২৪ রান করেন। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক সোহান (৩৯)।
জবাবে আব্দুল মাজিদ বরিশালকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন। ওপেনিংয়ে নেমে ৫১ রান করেন। কিন্তু পরের ব্যাটাররা রান পাননি। শেষটায় মঈন খান ২৭ বলে ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে আশা দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি স্ট্রাইক না পাওয়ায় হেরেছে বরিশাল।
শেষ ওভারে জিততে ৯ রান দরকার ছিল বরিশালের। প্রথম বলে লেগ বাই থেকে এক রান পায় দলটি। মঈন খান পরের বল থেকে সিঙ্গেল নেন। তৃতীয় বলে চার মেরে কামরুল ইসলাম রাব্বি দলকে জয়ের কাছে নেন। কিন্তু শেষ তিন বলে রাব্বি, তানভির ও রুয়েল রান আউট হন। শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে দারুণ এক থ্রোতে রান আউট করেন সোহান। মধ্যে ওয়াইড থেকে ১ রান আসায় শেষ বলে জিততে ২ ও টাই করতে ১ রান দরকার ছিল বরিশালের।
হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হারল রাজশাহী
ঢাকা মেট্রোর দেয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের পথেই ছিল রাজশাহী। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১ রান। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত ফরহাদ রেজা। জয়ের পাল্লা অনেকটাই হেলে ছিল রাজশাহীর দিকে। তবে আবু হায়দার ও শহিদুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচও জিততে পারেনি রাজশাহী। শেষ পর্যন্ত ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা মেট্রো। শেষ ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে মেট্রোর জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পেসার শহিদুল ইসলাম। ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নাইম শেখের ৪৩ ও তাহজিবুল ইসলামের ৩১ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬২ রানের পুঁজি পায় মেট্রো। মেট্রোর দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফরহাদ ৩৫ বলে ৬০ রান করে শেষ ওভারে ফিরে গেলে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর। বাকি ব্যাটাররা ২ বলে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি। শহিদুলের শেষ ওভারে তারা তুলতে পেরেছে কেবল ১ রান।
ডিএল মেথডে রংপুরের জয়
চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ২০ রান করা রিজওয়ান বোলিংয়ে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। রংপুর বিভাগকে জেতাতে সাইফ হাসান, আরিফুল ইসলাম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও সুমন খানকে ফিরিয়েছেন তিনি। তার এমন পারফরম্যান্সে ঢাকার বিপক্ষে ২১ রানে জয় পেয়েছে রংপুর। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-২০তে টানা দুই ম্যাচেই জিতল আকবর আলী বাহিনী।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আকবরের ৩০, আরিফুল হকের ৪৫ ও এনামুল হকের ২৬ রানে ভর করে ১৪০ রানের পুঁজি পায় রংপুর। ১৪১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেট হারানো ঢাকার যখন ১১২ রান তখন আলোকস্বল্পতায় ৩ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ হয়। ফলে বৃষ্টি আইনে ২১ রানের জয় পায় রংপুর।


আরো সংবাদ



premium cement