০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

সিরিজ সেরা তাসকিন ম্যাচ সেরা তাইজুল

-


এর আগে আরো তিনবার সফরে গিয়ে ফিরতে হয়েছিল বিশাল সব হার নিয়ে। এবারো প্রথম টেস্টে বড় হারে একই শঙ্কা ছিল। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ফিরছে সিরিজ সমতায় শেষ করার স্বস্তি নিয়ে। এবারের জয়টাকে তাই নানা কারণে অনেক বড় অর্জন মনে হচ্ছে সিরিজ সেরা তাসকিন আহমেদ ও ম্যাচ সেরা তাইজুল ইসলামের।
জ্যামাইকায় প্রথম ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০১ রানের জয় বাংলাদেশ দলকে দিচ্ছে দম ফেলার ফুরসত। কারণ আগের টেস্টে ২০১ রানে হার, তার আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ, ভারতে গিয়েও একই পরিণতি। আগস্টে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্মৃতি হয়ে পড়েছিল ফিকে। হতাশার চক্র থেকে বেরুনোর তাগিদ ছিল প্রবল। কঠিন কন্ডিশনের সাথে চলমান চাপ মিলিয়ে এই জয় তাই বিশেষ।

কন্ডিশনের বিপক্ষে জয় : তাসকিন
দুই টেস্টের সিরিজে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা তাসকিন বলেন, ‘এটা অনেক বড় অর্জন। কারণ কঠিন কন্ডিশনে জিতেছি। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দলও সংগ্রাম করে। আমরা কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর আমরা কয়েকটা সিরিজ হারাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। শক্তভাবে ফিরে এসেছি। সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি, সিরিজ সেরা হয়েছি। আমি আমার বাহুর ইনজুরি নিয়ে টেস্টে ফেরার চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। আশা করছি এমন অনেক অর্জন ধরা দেবে।’

তাড়না ছিল ম্যাচ জেতার : তাইজুল
দুই ইনিংসেই ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে তাসকিন বাংলাদেশকে রাখেন ম্যাচে। ঠিক একই কাজ তাইজুল করলেন দ্বিতীয় টেস্টে। ২৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে থাকা ক্যারিবিয়ানদের ১৮৫ রানে গুটিয়ে দিতে ৫০ রানে ৫ উইকেট শিকার করলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ম্যাচসেরা হয়ে বললেন ভেতরে থাকা তাড়নাবোধ থেকে জয় পেয়েছেন তারা, ‘বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিল, কিছু খেলোয়াড় ছিল হয়তোবা ৮-১০ বছর ধরে খেলছে। সবার মাঝে ভালো একটা সমন্বয় ছিল, তাড়না ছিল ম্যাচ জেতার। সবাই চেষ্টা ছিল অসাধারণ ও অতুলনীয়।’
তিনি যোগ করেন, ‘চতুর্থ ইনিংসে যখন বোলিং করতে এসেছি, আমার ওপরে দলের একটা বড় চাওয়া ছিল। আমার বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। দলের যে চাওয়া ছিল ওটা আলহামদুলিল্লাহ পূরণ করতে পেরেছি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement