০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অবশেষে বাফুফেতে মনি

-

কেউ একবার নির্বাচন করে হারলে আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। কারো আবার নির্বাচন করাটা নেশা। কেউ শেষ পর্যন্ত জয়ের অপেক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যান। ২০০৩ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সদস্য সাইফুর রহমান মনি সেই টানা চেষ্টায় সফল। চার দফা নির্বাচন করার পর গতকাল বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে প্রবেশ করলেন সাবেক এই ফুটবলার। বাফুফের ১৫তম সদস্য পদে উপনির্বাচনে গতকাল যে ভোটাভুটি হয় তাতে মনি পেয়েছেন ৫৬ ভোট। ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে এই পদে মনির সাথে টাই করা এখলাছ উদ্দিন পেয়েছেন ৫১ ভোট। উল্লেখ্য ২৬ অক্টোবর দুইজন ৬১টি করে ভোট পান।
চুয়াডাঙ্গা ডিএফএর সভাপতি এখলাছ এবারই প্রথম বাফুফের নির্বাচনে অংশ নেন। অন্য দিকে মনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে সদস্য পদে মাত্র ১ ভোটে হারেন। ২০২২ সালে অবশ্য ততটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। ভোটে জয়ের পর মনি বলেন, আমি ২০১৬ সালেই নির্বাচনে পাস করতাম। তবে সেবার আমার দু’টি ভোট নষ্ট হয়েছিল।’ যোগ করেন, ‘এই নির্বাচনে পাস করার জন্য আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই কাউন্সিলরদের। তারা কষ্ট করে একটি মাত্র ভোট দেয়ার জন্য জেলা থেকে এসেছেন। কাজ রেখে ভোট দিতে আসেন অন্য কাউন্সিলররা। সেই সাথে সব সাবেক ফুটবলার এক হয়ে আমার জন্য কাজ করেছেন।’
ইয়ংমেন্স ক্লাব, রহমতগঞ্জ এবং মুক্তিযোদ্ধায় খেলা এই স্ট্রাইকারের মতে, ‘আমি তো মনে করেছিলাম ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনেই পাস করে যাবো। এমনকি এই পুনর্নির্বাচনেও ভেবেছিলাম আরো বেশি ভোট পাবো। আসলে এটাই নির্বাচন। আগাম অনুমান অনেক সময়ই সঠিক হয় না।’ এর আগে বাফুফের টেকনিক্যাল এবং ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করা মনি এবার একই সাথে বিপিএলে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ। গত পরশুও তিনি বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডাগ আউটে ছিলেন। বাফুফের সদস্য হিসেবে কোচিংয়ে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, দুই ভূমিকায় থাকা যাবে না এমনটিতো বাইলজ তো নেই। আমি এত বছর পর বাফুফের সদস্য হয়েছি। তা কাজ করার জন্যই। এখন বাফুফে সভাপতি আমাকে কোন দায়িত্ব দেবেন সেই অপেক্ষায় আছি। ক্লাব ও ফেডারেশন দুই জায়গায়তেই সুন্দরভাবে কাজ করতে চাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement