৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পেস বোলিং পিচে জয়ের লক্ষ্য মিরাজদের

-

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে অ্যান্টিগায় ২০১ রানে হেরে ১-০তে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের লাগাতার ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না টাইগার বাহিনী। সেই ব্যর্থতা ভুলে শেষ টেস্ট জয়ে সিরিজ সমতায় শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই আজ মাঠে নামবে মেহেদি হাসান মিরাজরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
পাকিস্তানের মাটিতে গত আগস্ট মাসে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। এর পর থেকেই পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরুতে পারছে না টাইগাররা। পাকিস্তানে অবিস্মরণীয় সিরিজ জয়ের টানা পাঁচ টেস্ট হেরেছে মিরাজ-লিটনরা। প্রথমে ভারত সফরে দুই টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হার। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০১ রানের বড় পরাজয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে টাইগাররা।
অ্যান্টিগা টেস্টে তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬৪ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকলেও ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশী ব্যাটাররা। ম্যাচের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ছিল টাইগার ব্যাটাররা। বিশেষভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যাট হাতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাটাররা। বাংলাদেশের মূল সমস্যা হলো ব্যাটিং। ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝেও ধারাবাহিকতা অব্যাহত বোলারদের। তাসকিন-শরিফুল-হাসান মাহমুদদের পারফরম্যান্স ম্লান করে দিচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে।
দলের নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছেন মিরাজ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও তাদের পক্ষেই কথা বলেন নতুন এই অধিনায়ক। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথম টেস্টের ভুলগুলো শুধরে ভালো করতে বদ্ধপরিকর খেলোয়াড়রা।
আজকের ম্যাচের ভেনু সাবাইনা পার্কে এই বছর টি-২০তে বড় স্কোর হয়েছে। তবে ঐতিহ্যগতভাবে এই মাঠে টেস্টে ফাস্ট বোলার ও স্পিনার উভয়ের জন্যই ভালো পিচ। তিন বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে সাবাইনা পার্ক। এটি স্বাগতিকদের একটি প্রিয় ভেন্যু। তারা সেখানে নিয়মিতভাবে অন্য ফরম্যাটে খেলে; যা তাদের আরো একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্সকে একত্রিত করার দুর্দান্ত সুযোগ দেয়। বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর যদি এটি ঘটে, তাহলে ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি হবে দ্বিতীয় সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
অন্য দিকে একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও প্রথম টেস্টে পেস বোলিং ছিল বাংলাদেশের একমাত্র ইতিবাচক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটসহ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে পথ দেখিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই ছিল তাসকিনের প্রথম ৫ উইকেট। তাই দ্বিতীয় টেস্টে পেস আক্রমণে শক্তি বাড়াতে হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের সাথে নাহিদ রানাকেও দেখা যেতে পারে।
২০০৯ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ের পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপে আর সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। সব মিলে ২১ টেস্টের মধ্যে ১৫টিতে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের জয় চারটিতে। বাকি দুই টেস্ট ড্র হয়। জয়ের পাল্লা ও সিরিজ সমতায় শেষ করাই এবার লক্ষ্য বাংলাদেশের।

 


আরো সংবাদ



premium cement