সোহাগের অধীনে খেলতে অনীহা ক্লাবগুলোর
- জসিম উদ্দিন রানা
- ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬
সোহাগই থাকছেন কাবাডিতে
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগের বিপক্ষে নানা অভিযোগ। অবশ্য এর পরও তাকে সরানো হচ্ছে না কাবাডি থেকে। সার্চ কমিটির সদস্য আজাদ মজুমদার গতকাল জানান, আমরা কি সরানোর জন্য তাকে কাবাডির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছি। সোহাগই থাকবে কাবাডিতে।
কাবাডিতে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটিতে ২৫ ক্লাবের মধ্যে জায়গা হয়েছে মাত্র দুই ক্লাবের কাউন্সিলরের। বাকিরা বাদ পড়েছেন। ফলে আগামীতে কাবাডিতে খেলা নিয়েই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্রিকেট থেকে বিতাড়িত অ্যাডটাচের কর্ণধার ও কাবাডির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের অধীনে খেলতে চাইছে না ক্লাবগুলো।
ঘরোয়া আসরে জাকজমক খেলা চললেও আন্তর্জাতিক আসরে জাতীয় খেলা কাবাডির দুর্দশা। এর মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঘোষিত অ্যাডহক কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে দেখা যায় ক্লাব রয়েছে এমন দু’জন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে। এরা হলেন প্রথম বিভাগের ক্লাব মৌলভী সুরজ্জামান স্মৃতি সংসদের মনির হোসেন (কোষাধ্যক্ষ) এবং প্রিমিয়ার কাবাডি লিগের দল ইনস্টিটিউট অব কাবাডির কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান শাহিন (সদস্য)। অথচ বাকি ২৩টি ক্লাবের কোন কাউন্সিলর বা কর্মকর্তাকেই রাখা হয়নি কমিটিতে।
ফলে সোহাগের অধীনে খেলতে চাইছেন না তারা। প্রিমিয়ার বিভাগের বাকি সাত ক্লাব হলো- আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, শহীদ মোজাফফর স্মৃৃতি সংসদ, মানিকনগর কাবাডি ক্লাব (বর্তমানে অক্সফোর্ড কাবাডি ক্লাব), স্টার স্পোর্টস ক্লাব, মাতুয়াইল মিলন স্মৃৃতি সংসদ ও সাউথ বাংলা ক্লাব। এ ছাড়া প্রথম বিভাগে ১০টি ও দ্বিতীয় বিভাগ কাবাডি লিগে রয়েছে আরো পাঁচটি ক্লাব।
প্রথম বিভাগ কাবাডি লিগের ক্লাব আইডিয়াল ক্রীড়া চক্রের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান সুমনের কথা, ‘এ কমিটির অধীনে খেলতে চাই না। লাখ লাখ টাকা খরচা করে ক্লাব চালাই, অথচ আমাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। আর একজন অখেলোয়াড়ের অধীনে আমি খেলতে চাই না।’
মহানগরী কাবাডি ক্লাব সমিতির সভাপতি ও আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর এসএমএ মান্নান বলেন, ‘সোহাগ একজন ব্যবসায়ী। সে কোনো খেলোয়াড় ছিল না। ব্যবসা করার উদ্দেশ্যেই সে কাবাডিতে এসেছে। বছরে ৫৩ লাখ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। আর এ কমিটি পুরোটাই তার উপযোগী করা হয়েছে। কমিটি দেখে মনে হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী সংস্কারের কিছুই হয়নি।’
তিনি যোগ করেন, ‘ঢাকার কোনো প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের প্রতিনিধিকেই রাখা হয়নি অ্যাডহক কমিটিতে। তাই সোহাগের অধীনে আমরা খেলতে চাই না। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই ক্লাবগুলোর সাথে বসব আমি। তাদের কথা শুনব। তারপর আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসব।’
২০১১-১২ সালে ক্রিকেট থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন এসএম নেওয়াজ সোহাগ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান বলেন, ‘সোহাগের বিল-ভাউচার অসঙ্গতি ছিল বলেই বিসিবি থেকে সে বিতাড়িত হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা