২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সেঞ্চুরির পর কাঁদলেন গ্রিভস

-

বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জাস্টিন গ্রিভস। অভিষেক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাঠে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। দিনের খেলা শেষে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার মুহূর্ত নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগি হয়ে পড়েন তিনি। অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে হাসান মাহমুদের ঝলকে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে সাড়ে চার শ’ রানে পৌঁছে দেন গ্রিভস। ২০৬ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ধৈর্যশীল এই ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।

দিনের শুরুতে হাসান ফেরান জশুয়া দা সিলভা ও আলজারি জোসেফকে। ২৬১ রানে ৭ উইকেট পড়ে ক্যারিবিয়ানদের। সেখান থেকে কেমার রোচের সঙ্গে ১৪০ রানের জুটি গড়েন গ্রিভস। ফাস্ট বোলার রোচও ব্যাটার বনে যান। ৪৭ রান আসে তার ব্যাটে।
ম্যাচ শেষে গ্রিভস বলেন, ‘খুবই খুবই স্পেশাল মুহূর্ত। খুব আবেগময় হয়েছিলাম। সম্ভবত কিছুটা চোখের পানিও ঝরেছে। সব মিলিয়ে খুবই খুশি যে, দলকে ভালো একটা জায়গায় নিতে পেরেছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, আড়ালে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে। অনেকটা পথ পেরিয়ে এই জায়গা এসেছি। মানসিকভাবেও অনেক কাজ করতে হয়েছে। সব কিছুই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।’

বিশেষ করে রোচকে কৃতিত্ব দেন গ্রিভস। ৮২ টেস্ট খেলা এই পেসার উইকেটে গ্রিভসকে দারুণভাবে পরামর্শ দেন, যা ম্যাচে কাজে লাগান এই অলরাউন্ডার। এই দু’জনের দাপটে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা দেয় ক্যারিবিয়ানরা।
গ্রিভস আরো বলেন, ‘স্কোরিং রেট কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। কেমার স্রেফ বলে গেছেন যে, নিজের মতো করে খেলতে এবং প্রতিটি বল দেখে খেলতে ও লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে। রোচের মতো সিনিয়র একজন ক্রিকেটারকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়া দারুণ ছিল।’
তিনি যোগ করেন, ‘ইতিবাচক তাড়না ধরে রাখতে এবং নিজেকে কিছুটা সময় দিতে বলেছিল রোচ। ওদেরকে (বোলারদের) যতটা সম্ভব ক্লান্ত করে তুলতে এবং বোলারদেরকে চতুর্থ-পঞ্চম স্পেলে আসতে বাধ্য করতে। একটা প্রান্তে ধীরস্থির রয়ে গেছি আর নিজের খেলাটা খেলে গেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement