২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘হয়তো আমাকে আরো প্রমাণ দিতে হবে’

গত বিপিএলের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার হাতে আহসান হাবিব বিপু -


২০২৩-২৪ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলরক্ষক। গত সিজনে বাংলাদেশ পুলিশ দলের হয়ে লিগের ২০ ম্যাচের ১৮টিতেই পোস্টের নিচে ছিলেন। পুরো লিগজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জেরেই কয়েকদিন আগে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার তুলে দেয় আহসান হাবিব বিপুর হাতেও। বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠান করেই এ স্বীকৃতি দেয়া। তবে বিস্ময়কর ভাবে চাঁদপুর জেলার এ কিপার এখন পর্যন্ত জাতীয় দলে ডাক পাননি। এমনকি কোনো লেভেলেই লাল-সবুজ জার্সিতে খেলা হয়নি। যে দলের হয়ে গত সিজনে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সেই বাংলাদেশ পুলিশও এবার বিপুকে রাখেনি দলে। ফলে বাধ্য হয়েই পুরান ঢাকার দল রহমতগঞ্জে যোগ দেয়া চট্টগ্রামে বড় হওয়া এ কিপারের। ক্লাব মাঠে অনুশীলনের আগে সেই আফসোসের কথা জানান তিনি। বিপুর মতে, সবারইতো ইচ্ছে থাকে বাংলাদেশ দলে খেলার। আমি ভালো খেলার পরও কেন আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি তা আমি জানি না। হয়তো আমাকে আরো প্রমাণ দিতে হবে ডাক পাওয়ার জন্য। মনে হয় ন্যাশনাল টিমে কোচের যে দর্শন এর সাথে আমি হয়তো উপযুক্ত নই।

দীর্ঘদেহী গোলরক্ষক বিপুর ঢাকার ফুটবলে আগমন ২০১০-১১ সিজনে। এসেই চ্যাম্পিয়নের স্বাদ। তার দুর্দান্ত কিপিংয়ে তৃতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব। এরপরই ডাক পান দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব মোহামেডানে। সেখানে চার বছর থেকে নাম লেখান ফেনী সকার ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে। ২০১৮-১৯ সালে ফের মোহামেডানে আসা। সে বছর সাদাকালো শিবিরের প্রথম গোলরক্ষক ছিলেন বিপু। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে হাত ভেঙে যায় তার। এ থেকে সুস্থ হতে বেশ সময় লাগে। পরের সিজনে অনুশীলনের সময় আবার চোট। যা কেড়ে নেয় দুই মাস। অবশ্য এর আগে মোহামেডানের বিকল্প কিপার হিসেবে স্বাধীনতা কাপ ও সুপার কাপ জয়ের সুখ স্মৃতি আছে। তবে গত বছরের আগের বছর মোহামেডানের দীর্ঘসময় পর জেতা ফেডারেশন কাপে বিশাল অবদান বিপুর। বিপু জানান, ‘টাইব্রেকারে আমি দু’টি শট ঠেকিয়েছিলাম। এতে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়, যা আমার কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়।’ এর আগে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে টাইব্রেকারে মোহামেডান হারলেও বিপু হয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়। এটাই তার কাছে মনে রাখার মতো বিষয়। তবে বেশি উল্লেখযোগ্য দিলকুশার হয়ে ঢাকার ফুটবলের অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনাটি। যোগ করেন, তবে কোনো ম্যাচে যদি আমার কারণে দল হারে তখন ভীষণ কষ্ট পাই।

খেলাধুলার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি। তবে এখন ঢাকার গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইনাল সেমিস্টার্স দিতে যাচ্ছেন। এক মেয়ে সন্তানের জনক বিপুর লক্ষ্য একটাই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়া। জানালেন, সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছি এতে অবশ্যই ভালো লাগছে। তবে জাতীয় এখনো সুযোগ পায়নি এ নিয়ে আফসোসতো আছেই। এখন মূল লক্ষ্য আরো ভালো করে বাংলাদেশ দলে ডাক পেতে চাই। তথ্য দেন, এর আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলের ক্যাম্পে ছিলাম আমিসহ চার কিপার। শেষ পর্যন্ত আমাকে বাদ দেয়া হয়।
চট্টগ্রামের পঙ্গেতার সাইফুল এবং সুবলের হাত ধরে ফুটবলে আসা বিপুর। বাকি উৎসাহ দিয়েছেন ঢাকা আবাহনী, রহমতগঞ্জে খেলা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। দেশে প্রিয় গোলরক্ষক আমিনুল হক। বিদেশে পিটার চেক।


আরো সংবাদ



premium cement