২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দুই নাঈম আর সুমনের দিন

হ্যাটট্রিকসহ ৭ উইকেট নেয়া সুমন খান : বিসিবি -


জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঘটনাবহুল দিনটি গেল গতকাল। হ্যাটট্রিকসহ ৭ উইকেট নিয়েছেন সুমন খান। ৪২ রানে অলআউটে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে রাজশাহী। এ ছাড়া ৫ উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রামের স্পিনার নাঈম হাসান। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ঢাকার নাঈম শেখ।
টানা দুই বলে রাজশাহীর সানজামুল ইসলাম ও মোহর শেখকে আউট করার পর হ্যাটট্রিক বলে ব্যাটার আসাদুজ্জামান কি মনে করে ফ্রন্ট ফুটে খেললেন। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেন সাড়া। হ্যাটট্রিকের আনন্দে তখন ডানা মেলে দিয়ে লাফিয়ে ছুটতে থাকলেন সুমন খান। তাতে ৩৯ ম্যাচের প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান ২৪ বছর বয়সী এই পেসার। সব মিলিয়ে ৭.৫ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন সুমন। প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা বোলিং। গত রাউন্ডে খুলনার বিপক্ষে ৫০ রানে ৬ উইকেট ছিল আগের সেরা। এ নিয়ে ছয়বার ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট নিলেন তিনি।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সুমনের বোলিং তোপে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে মাত্র ৪২ রানে গুটিয়ে গেছে রাজশাহী বিভাগ। দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। গত মৌসুমের জাতীয় লিগে খুলনার বিপক্ষে বরিশালের ৪৬ রান এত দিন ছিল সর্বনিম্ন স্কোর। এ ছাড়া ২০১৪ সালে জাতীয় লিগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৪৮ রানে অলআউট হয়েছিল ঢাকা মেট্রো।
গতকাল টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী। সুমনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ২০.৫ ওভার খেলতে পেরেছে তারা। সুমনের হ্যাটট্রিকে সমাপ্তি ঘটে রাজশাহীর ইনিংসের। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া বাংলদেশের ১৫তম বোলার তিনি। আগের ১৪ জনের মধ্যে ইলিয়াস সানি ও সোহাগ গাজীর আছে দু’টি করে হ্যাটট্রিক।

রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত করেন সুমন। দ্বিতীয় বলে আলতো ড্রাইভে শর্ট মিড অফে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসান। এক বল পর চমৎকার আউটসুইংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রহমতউল্লাহ আলি। এরপর নবম ওভারে আবার দুই উইকেট নেন এই পেসার। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি দূর থেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সাব্বির হোসেন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন আশিকুর রহমান। এক বল পর আরেকটি চমৎকার আউটসুইংয়ে প্রিতম কুমারকে বিদায় করেন। সাত ওভারের প্রথম স্পেলে আর সাফল্য পাননি তিনি। ২১তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে তৃতীয় বলে সানজামুলকে আউট করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন সুমন। পরের দুই বলে আরো দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি রাজশাহীর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান তিনি।
রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন এস এম মেহেরব হোসেন। এ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু সাব্বির (১০)। সুমনের বলে পাঁচটিসহ মোট ছয়টি ক্যাচ নেন আশিকুর। অল্পের জন্য ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড ছুঁতে পারেননি তিনি। ২০০৪-০৫ মৌসুমের জাতীয় লিগে বরিশালের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে সাতটি ক্যাচ নিয়েছিলেন শাহিন হোসেন।

নাঈমের ৫ উইকেট
সিলেটের অ্যাকাডেমি মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে খুলনা। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩১ রানে দিন শেষ করেছে চট্টগ্রাম। এ ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন নাঈম হাসান। ২৮ ওভার বল করে ৪৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট পান তিনি। ৩ উইকেট আশরাফুল হাসানের। খুলনার হয়ে ১৯৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন অমিত মজুমদার। চট্টগ্রামের হয়ে ২৭ বলে ১১ রানে সাদিকুর রহমান ও ২৭ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন পারভেজ হোসেন ইমন।

নাঈম শেখ ১৫৩ নটআউট
কক্সবাজারের অ্যাকাডেমি মাঠে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনশেষে ২ উইকেটে ২৭৬ রান করেছে ঢাকা। দলটির হয়ে ২২২ বলে ১৫৩ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম শেখ। ১৯০ বলে ৭৩ রান করে আউট হন গাজী তাহজিবুল ইসলাম।
বরিশালের ২৫৮
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের মুখোমুখি হয়েছে বরিশাল। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করেছে তারা। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯৯ বলে ৭৮ রান করে আউট হয়েছেন আব্দুল মজিদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement