প্রথম চ্যালেঞ্জ কাপ বসুন্ধরা কিংসের
বসুন্ধরা কিংস ৩-১ মোহামেডান, (তপু, ফাহিম, মিগুয়েল) (সোলেমান)- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অনেক আশা নিয়ে ভুটান যাওয়া। কিন্তু থিম্পুর মাঠে এএফসির প্রবর্তিত প্রথম চ্যালেঞ্জ লিগে খুবই বাজে রেজাল্ট বসুন্ধরা কিংসের। তিন ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই হার। তবে বাফুফে প্রবর্তিত প্রথম চ্যালেঞ্জ কাপে আর ব্যর্থতা নয়। নতুন আঙ্গিকের এই এক ম্যাচের ফাইনাল জিতে মৌসুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলেছে দেশ সেরা ক্লাবটি। গতকাল বসুন্ধরা কিংস এরিনা মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ৩-১ গোলে হারায় মোহামেডানকে। হারের ফলে ট্রফি উল্লাসে ২০২৪-২৫ সিজন শুরু করার বদলে রানার্সআপেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মোহামেডানকে। উল্লেখ্য, গত সিজনেও তিন লিগ ও টুর্নামেন্টের শিরোপা বসুন্ধরা কিংসের দখলে। আর প্রত্যেকটিতেই মোহামেডান হয়েছিল রানার্সআপ। খেলা শেষে ট্রফি প্রদান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনের সম্মানে এই টুর্নামেন্টের নাম রাখা হয় বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপ। ওই আন্দোলনেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন। টুর্নামেন্টের ভেনু কিংস এরিনার গ্যালারিও আন্দোলনে শহীদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধদের ছবি এবং বিভিন্ন সে্লাগানে ভরা ছিল। ট্রফিতেও সেই বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি।
তবে এই ম্যাচে সেরার মতো শুরু করতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। ৭ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ভ্যালেরিও তিতার দল। বাম দিক থেকে নেয়া ইমানুয়েল সানডের ক্রসে মোহামেডান অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতের হেড। বলের আশ্রয় সোজা জালে। এতে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেননি বসুন্ধরার ডিফেন্ডাররা। সাদা কালোদের দুই উইংগার রহিম উদ্দিন এবং আরিফ হোসেন তখন বসুন্ধরার ডিফেন্স লাইনে মূর্তিমান আতংক। তবে এ থেকে ব্যবধান বৃদ্ধি করতে পারেনি সাদাকালো শিবির। এরই জের টানতে হয়েছে আলফাজ আহমেদের দলকে।
গত লিগে পাওয়া কার্ড সমস্যায় চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে খেলা হয়নি রাকিব হোসেনের। ইনজুরির জন্য নেই মোহাম্মদ সোহেল রানা এবং বিশ্বনাথ ঘোষ। এদের অনুপস্থিতি বেশ ভোগাতে থাকে গত বছর ট্রেবল জেতা দলটিকে। আর ৯ নম্বর জার্সিধারী বসুন্ধরা কিংসের ফরাসি স্ট্রাইকার জারেড খাসা যেন দলের বোঝা। এই পরিস্থিতিতে বসুন্ধরাকে উদ্ধারের দায়িত্ব নেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার জোনাথন ফার্নান্দেজ। তবে তার কোনো পাস বা নিজের কোনো শটই কাজে লাগছিল না। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর বসুন্ধরা কিংস চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করে। অন্য দিকে মোহামেডানের ফুটবলারদের ফিটনেস ঘাটতি দেখা দেয়। এর পরও ৬২ মিনিট পর্যন্ত তেমন কোনো সুবিধাই করতে পারেনি স্বাগতিকরা। তখনই মাঠে ঘটে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। মাঠের মধ্যে স্মোর ফ্লেয়ার ছুড়ে মারে বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকরা। মাঝ মাঠ এবং মোহামেডানের পোস্টের সামনে এই ধোঁয়া উড়তে থাকে। একটু পরে মাঠের অধিকাংশ স্থান রঙিন এই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। ফলে ভুটানি রেফারি ভিরেন্দা রাই বন্ধ করে দেন খেলা। প্রায় আট মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় খেলা। উল্লেখ্য, এএফসির রেফারি অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে ভুটানি তিন রেফারি এই ম্যাচ পরিচালনা করেন। যারা বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচ চালাতে এনে আর ফিরে যাননি।
এই বিরতির পরই ছন্দ পতন মোহামেডানের। ফের খেলা শুরু হওয়ার দুই মিনিট পরই কর্নার পায় বসুন্ধরা কিংস। ব্রাজিলের মিগুয়েল ফিগেইরোর নেয়া কর্নার থেকে তপু বর্মণের শটে সমতা। গোলের পর সাদা কালো শিবির আরো ছন্ন ছাড়া। ৮১ মিনিটে মিগুয়েলের ক্রসে ফয়সাল আহমেদ ফহিমের ডান পায়ের শটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। ৮৯ মিনিটে খাসার পাসে ফাঁকায় থাকা শেখ মোরসালিন গোল করতে পারেননি পোস্টের খুব কাছ থেকে।
এরপর রেফারির দেয়া ১৮ মিনিটের যোগ করা সময়। এর ৯৭ মিনিটে ম্যাচের চতুর্থ গোল। মোহামেডান ডিফেন্ডারের দেয়া ভুল পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাম পায়ের শটে গোলরক্ষক সুজন হোসেনকে পরাস্ত করেন মিগুয়েল ফিগেইরো। এতেই জয় নিশ্চিত দেশ সেরা ক্লাবটির। একটি গোল এবং দুই অ্যাসিস্ট দীর্ঘদেহী মিগুয়েলের। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তপু বর্মণ।
চ্যাম্পিয়ন দল ২০ লাখ এবং রানার্সআপ দল পাঁচ লাখ টাকা পেয়েছে। এই প্রাইজমানি দেয়া হবে জুলাই শহীদদের ফান্ডে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা