কোচদের সাথেই বেশি লড়াই করতে হয়েছে : সিফাত
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিপিএল অনূর্ধ্ব-১৮ লিগ আরো আগেই শেষ হয়েছে। সেই আসরের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হলো কয়েক দিন আগে। বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের ড্রয়ের দিন সেই লিগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সাথে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও দেয়া হয়। এই দুই ট্রফিই জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর ইয়াসিন আরাফাত সিফাত। সাত ম্যাচে ছয় গোল মাগুরার এই স্ট্রাইকারের। এই পারফরম্যান্সের পর আবাহনীর সিনিয়র দলে ঠাঁই হয়েছে তার। এবার আকাশি নীল শিবিরে বিদেশী নেই। ফলে উঠতি এই ফরোয়ার্ডের দারুণ সুযোগ দর্শকপ্রিয় দলটির মূল দলের একাদশে নিজেকে প্রমাণ করার। সিফাতও জানান, এখন আমার একটাই লক্ষ্য, আবাহনীতে ভালো করে বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নেয়া।
এখনো সিফাতের সুযোগ হয়নি কোনো লেভেলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার। তরুণ এই স্ট্রাইকারের দেয়া তথ্য, ‘সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৭ দলে ডাক পাইনি বয়স বেশি থাকায়। এরপর বলা হয়েছিল অনূর্ধ্ব-২০ দলে ডাকা হবে। সেই আশায়ও ছিলাম। তখন দেশে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছিল। এরপর কি হলো জানি না। আমি আর অনূর্ধ্ব-২০ বাংলাদেশ দলে ডাক পাইনি।’
বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো বিশ্বেরই সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেই সাকিবের জেলা মাগুরার ছেলে সিফাত। সাকিবেরই আরেক ভাই (আপন নয়) সাফ জয়ী বাংলাদেশ দলের ফুটবলার স্ট্রাইকার মেহেদী হাসান উজ্জ্বল। সিফাত অবশ্য সাকিবকে অনুসরণ করেননি। উজ্জ্বলের পথে হেঁটে আজ ফুটবলার। জানান, ‘আমার প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল ক্রিকেটার নয়, হবো ফুটবলার। তাই আমি আজ এখানে।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপিতে ভর্তি হন সিফাত। এই বিকেএসপিরই প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন ফুটবলার সৈয়দ বারিক আনজাম বারকি। মাগুড়ায় গড়া বারকির ফুটবল অ্যাকাডেমিতে ফুটবলে হাতে খড়ি সিফাতের। বারকির সাথে ভালো যোগাযোগ আছে বিকেএসপির। সেই সূত্রে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া। মাগুরার নাম করা ফুটবল অ্যাকাডেমি আসাদুজ্জামান ফুটবল অ্যাকাডেমি। এই দলের হয়েই ২০১৮-১৯ সিজনে ঢাকা তৃতীয় বিভাগ লিগে খেলা সিফাতের। সেই লিগে তার গোল ছিল দু’টি। এরপর লিটিল ফ্রেন্ডসের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগ ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের (বিসিএল) দলে থাকা। দ্বিতীয় বিভাগে তিন গোল করলেও বিসিএলে খেলা হয়নি দলের জুনিয়রতম ফুটবলার হওয়ায়। পরবর্তীতে বিকেএসপি থেকে ঢাকা আবাহনীর অনূর্ধ্ব-১৮ দলে।
উঠতি এই ফুটবলারের এখনো যেমন খেলা হয়নি জাতীয় দলে তেমনি বিকেএসপির হয়ে ভারতের সুব্রত কাপেও খেলতে পারেননি। একবার বঞ্চিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকায়। তবে বিকেএসপির কোচদের বিপক্ষে অভিমানও তার। জানান, আমি কখনই আমার বিকেএসপি এবং অন্যত্র কোনো স্থানেই কোচদের কাছ থেকে কোনো ফেবারই পাইনি। আমাকে সব সময়ই কোচদের সাথে ফাইট করতে হয়েছে। অন্য খেলোয়াড়দের সাথে নয়।’ উদহারণ দিয়ে বলেন, ‘২০১৮ সালে সুব্রত কাপে খেলতে আমার যাওয়ার কথা ছিল ভারতে। পরে দেখলাম আমিই নেই। সব সময়ই দেখেছি আমি খেলবো এটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু দেখলাম শেষ মুহূর্তে আমি বাদ।’ তবে এরপরও তিনি জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। সিফাত যোগ করেন, নিজের যোগ্যতা প্রমানের পর কিন্তু কোচরা আমাকে সার্পোট দেয়া শুরু করেছে। বিকেএসপির সমর্থনেই আমি এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা