পাকিস্তানের মতো সিরিজ চান রাজ্জাক
জানি না কেন সবার আগ্রহ টি-২০তে- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২
মাসখানেক আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বপ্নের মতো সেই সিরিজটির মতোই পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের। ২২ নভেম্বর অ্যান্টিগায় শুরু হবে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। ৩০ নভেম্বর থেকে জ্যামাইকায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
পাকিস্তান সিরিজে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশা করেনি কেউই। প্রত্যাশার পারদ খানিকটা কম থাকায় মাঠে কিছুটা কম চাপ নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। তবে এবারের বাস্তবতা ভিন্ন। পাকিস্তান সিরিজের পর এই ফরম্যাটে আর জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সেই সিরিজের পর ভারতে গিয়ে টেস্ট ও টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিাকার বিপক্ষে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স করতে পারেনি তারা। তারা দুই টেস্টে বাংলাদেশকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি রঙিন পোশাকেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারে শান্তর দল।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বাংলাদেশ স্বরূপে ফিরুক এটাই প্রত্যাশা বিসিবি নির্বাচক রাজ্জাকের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরে ভালো প্রত্যাশাই থাকবে। অবশ্যই টেস্ট ম্যাচ জেতার চিন্তা। আশা করব প্রত্যেকটা বিভাগ জ্বলে উঠবে। যেমন পাকিস্তানে স্বপ্নের মতো টেস্ট সিরিজ খেলেছি। আশা করব ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওভাবেই খেলে সিরিজ জিতে দেশে ফিরবে।’
অভিজ্ঞদের বিকল্প পাওয়া কঠিন
১৯ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ফরহাদ জাতীয় লিগের চলতি মৌসুমে ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় দলে খেলা ইমরুল কায়েসও লংগার ভার্সন ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। শুধু তারাই নন, তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও এখন আর খেলছেন না। এর আগেও ইনজুরি কিংবা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে সাকিবের বিকল্প বের করতে ঘাম বেরিয়ে গেছে টিম ম্যানেজমেন্টর। মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল কিংবা মাহমুদুল্লাহদের নিয়ে যতোই সমালোচনা থাকুক না কেন, তাদের বিকল্প কেউ হতে পারেননি।
নির্বাচক প্যানেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক এই বাস্তবতা স্বীকার করে নিলেন। ‘যদি কোনও ক্রিকেটার ১৫-২০ বছর ক্রিকেট খেলে চলে যায়, তখন সাথে সাথে ওই ক্রিকেটারের বিকল্প পাওয়া একটু মুশকিল। তারপরও যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আশাবাদী। তবে ওই লেভেলে যেতে সময় তো লাগবেই।’
বিপিএলের আগে জাতীয় লিগ
১১ ডিসেম্বর থেকে টি-২০ ফরম্যাটে জাতীয় লিগ মাঠে গড়াবে। বিপিএলের আগে এই টুর্নামেন্ট খেলে ক্রিকেটাররা ভালো প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পাবেন। এই দল নিয়ে ধারণা দিলেন রাজ্জাক, ‘জাতীয় লিগের চার দিনের ম্যাচ ও টি-২০ ম্যাচের দল হয়তো সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে না। চার দিনের ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই থাকবে। অল্প কিছু ক্রিকেটার হয়তো থাকবে না। আটটি দল থাকবে। একেক দলে ১৫ জনের সদস্য থাকবে। এই লিগে তরুণ ক্রিকেটারদের দেখার সুযোগ পাব।’
সাম্প্রতিক ব্যাটিং ব্যর্থতা
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা বড় একটা একটা সমস্যা। জাতীয় লিগে একজন ক্রিকেটার ১০০ করে জাতীয় দলে ১০ রান করছে। গ্যাপের কারণ জানালেন রাজ্জাক, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা মানব না। জাতীয় লিগে খেলা, কাউন্টি খেলা, অস্ট্রেলিয়া ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলা আর টেস্ট ম্যাচ আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কখনই এক হবে না। দেশের টেস্টের মানদণ্ডে নেয়া তো সম্ভব না। কাছাকাছি হয়তো নেয়া যাবে। বেশ কয়েক বছর উইকেটের বেশ উন্নতি হয়েছে। বলও পরিবর্তন করা হয়েছে। কিভাবে ডিফিকাল্টি ফেস করতে হয় তা দেখা যায়। একটু একটু করে আগাচ্ছে।’
অমিত হাসান কেন জাতীয় দলে নয়
এবারের এনসিএলে সিলেট বিভাগের হয়ে ৮ ইনিংসে ৮১ গড়ে ৫৬৭ রান করেছেন অমিত হাসান। হাঁকিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিও। তবুও জাতীয় দলে না পাওয়া নিয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘অপেক্ষা করছি সে ভালো খেলুক। এত ভালো খেলুক যেন আমাদের কোনো সন্দেহ না থাকে। এমন যেন না হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা সন্দেহ নিয়ে ইন্ট্রিডিউস করে দেয়া হয়। আমার পয়েন্ট অব ভিউ, যদি ক্লিক করে তাহলে ফাইন। আর ক্লিক না করলে একটা ভালো প্রসপেক্ট চাপের কারণে নষ্ট হয়েও যেতে পারে। চেষ্টা করব ধারাবাহিকতা ধরে রেখে যেন মোটামুটি কনফার্ম হয়ে নেয়া যায়।’
টি-২০তে আগ্রহ সবার
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সব শ্রেণীর ক্রিকেটাররা বেশি পারিশ্রমিক পান ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট বা প্রিমিয়ার লিগ খেলে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সেই প্রিমিয়ার লিগ বাদ দিয়ে এখন টি-২০ ফরম্যাটে বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছে। সেটা কেন? তা কিছুতেই মাথায় আসছে না রাজ্জাকের। তিনি বলেন, ‘যদিও আমি মনে করি গড়পড়তা সব ক্রিকেটার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে বেশি আয় করে। তারপরও কেন যেন টি-২০র প্রতি বাড়তি আগ্রহ সবার। আসলে সবাই এই ফরম্যাটকেই প্রকৃত ক্রিকেট মনে করছে। সত্যিই টেস্ট বা দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলায় আগ্রহ কম বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। তার বদলে টি-২০ তেই আগ্রহী বর্তমান প্রজন্ম।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা