শ্রদ্ধায় চিরবিদায় জাকারিয়া পিন্টুকে
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬
যেকোনো অনুষ্ঠানে মানুষের যে মিলনমেলা হয় সেখানে লম্বা সময় পর একে অপরের সাক্ষাৎ ঘটে। গতকাল ক্রীড়াঙ্গনের মানুষগুলোর ঢল নেমেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, বাফুফে ভবন এবং প্রেস ক্লাবে। আর তা ছিল গত পরশু দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়া মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টুর নামাজে জানাজা উপলক্ষে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল এবং জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে তিন দফা নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে দাফন করা হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। মোহামেডান ক্লাবে নামাজে জানাজার আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেয়া হয়। স্বাধীন বাংলা দলের সদস্য হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মর্যাদা সম্পন্ন তিনি। পিন্টু কফিনের ওপর ছিল বাংলাদেশ এবং মোহামেডানের পতাকা। এরপর বাফুফে ভবনে তার লাশ নিয়ে আসা হলে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে চার সহসভাপতি এবং সদস্যরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কিংবদন্তি এই ডিফেন্ডারের ১১টার সময় জানাজা বাফুফে ভবনে। এরপর দুপুরে শেষ জানাজা হয় প্রেস ক্লাবে। উল্লেখ্য, জাকারিয়া পিন্টু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার।
মোহামেডান ক্লাবে পিন্টুর নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সভাপতি লে. জেনারেল (অব:) আবদুল মুবীন, মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর, ক্লাবের আজীবন সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালু, জাকারিয়া পিন্টুর সতীর্থ নন্দিত ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকসহ অন্যরা। জাকারিয়া পিন্টুকে নিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, পিন্টু ছিলেন মোহামেডানে চীনের প্রাচীর। মাকরানী খেলোয়াড়দের মাঝেও পিন্টু ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। ৮ বার মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন। এতেই স্পস্ট ফুটবলার হিসেবে কত উচ্চতায় ছিলেন পিন্টু। অত্যন্ত নিষ্ঠাবান, শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং ধর্মভীরু ফুটবলার ছিলেন তিনি।
সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসানের মতে, পিন্টু ভাইয়ের মতো শৃঙ্খলাপূর্ণ খেলোয়াড় বাংলাদেশে তেমন নেই। একই বক্তব্য সাবেক ফুটবলার এবং কোচ গোলাম সারোয়ার টিপুরও। স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের সদস্য শেখ আশরাফ আলীর মতে, পিন্টু ভাই খুবই শ্রদ্ধাশীল মানুষ ছিলেন। মাঠে কখনো তার মুখ থেকে বাজে কথা বলেননি। পিন্টুর বন্ধু ছিলেন প্রতাপ শংকর হাজরা। তার বক্তব্য, আমি জানি কাকে হারিয়েছি। কত স্মৃতি তার সাথে।
পিন্টু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্মৃতি রক্ষার্থে বাফুফের করণীয় সম্পর্কে সভাপতি তাবিথ আউয়াল জানান, তিনি আমাদের ফুটবল অঙ্গনে কিংবদন্তি। বাফুফের সভায় আমরা তার স্মৃতি রক্ষার্থে কি করা যায় সেই সিদ্ধান্ত নেবো। মোহামেডান ক্লাবও পিন্টুর জন্য স্মরণসভা করে স্মৃতি রক্ষার্থে কি করা যায় সেই সিদ্ধান্ত নেবে। জানান ক্লাব কর্মকর্তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা