ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ে ফেরার মিশন
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রথম ম্যাচে অপ্র্যাশিত হার। মালদ্বীপের কাছে ০-১ গোলের ওই হারের পর সিরিজ বাঁচাতে এখন তপু বর্মন ও সোহেল রানাদের জয়ের ফেরার ম্যাচ। এই ক্যামব্যাকের চেস্টার ম্যাচই আজ বসুন্ধরা কিংস এরিনায় সন্ধ্যা ছয়টায় হাজার দ্বীপের দেশটির বিপক্ষে। খেলা সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস।
বাফুফের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর ১৩ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলেছিল পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল। ফেডারেশনের প্রায় সব কর্মকর্তাই মাঠে উপস্থিত থেকেছেন খেলাটি দেখার জন্য। তবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা সেই প্রত্যাশিত জয় উপহার দিতে পারেননি দেশবাসীকে। ফরোয়ার্ড লাইনের ব্যর্থতা আর ডিফেন্সে ও গোলরক্ষকের ভুলের খেসারতে আবার হার মালদ্বীপের কাছে। বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আওয়াল একই সাথে ন্যাশনাল টিমস কমিটিও চেয়ারম্যান। তাই পরশু একবার সাউথইস্ট ব্যাংকের হেড অফিসে আবার সাভার বিকেএসপিতে মহিলা ফুটবল দলকে সময় দেয়ার পর রাতে হোটেলে পুরষ ফুটবল দলকে উৎসাহ দিতে আসেন তাবিথ। তিনি প্রথম ম্যাচে ফুটবলারদের জয়ের চেষ্টার প্রশংসা করেন। এখন ফাহিম , রাকিব, শেখ মোরসালিনদের বাকি কাজটা দলকে জয়ে ফেরানো।
হারের পর পরশু হোটেলে রিকভারি সেশন সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ দল। আজ তারা দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে জয়ের জন্যই মাঠে নামবে। এই ম্যাচই চলতি বছর বাংলাদেশ দলের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তা সিনিয়র-জুনিয়র পুরুষ বা নারী সব লেভেলেই। লাল-সবুজদের এই জয়ে ফেরানোর জন্যই গতকাল অনুশীলনে সময় ব্যয় করেছেন কোচ হাভিয়ার কাবরেরা।
তার মতে, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেও জিততে পারিনি। এটা অবশ্যই কস্ট দায়ক। ফিনিশিং জোনে সমস্যা ছিল। ক্রস গুলো সঠিক হয়নি। এছাড়া ক্রসের সময় বক্সে আমাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড়ও ছিল না। এ কারনেই হার এড়াতে পারিনি। যদিও জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। সবার উচ্চ প্রত্যাশাই ছিল জয়ের।’ এই স্প্যানিশ কোচ যোগ করেন, ‘হারের পর ফুটবলারদের চাঙ্গা করাই বেশ কঠিন কাজ। এখন এ নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পাবোই।’
মিডফিল্ডার সোহেল রানাও প্রথম ম্যাচে হারে ব্যাথিত। জানান, প্রথম ম্যাচে আমাদের জয়টা প্রাপ্য ছিল। বিশেষ করে আমরা যেভাবে ট্রেনিং করেছিলাম। তবে এখন আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য তৈরী হচ্ছি। ফুটবলাররা বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে জয়ে ফেরা সম্ভব। সেই সামর্থ্যও আছে। তিনি যোগ করেন, আমরা কিন্তু প্রথম ম্যাচে ভালোই খেলেছি। তবে দিন শেষে আমরা হেরেছি। তাই সেই ভালো খেলার মূল্যায়ন কেউ করবে না।
বাংলাদেশ দলে গোল মিসটা বেশ ভোগাচ্ছে লম্বা সময় ধরেই। প্রথম ম্যাচে এই গোল মিসই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য শুধু ফরোয়ার্ডদেরই দায় দিচ্ছেন না বসুন্ধরা কিংসে খেলা এই মিডফিল্ডার। তার মতে, শুধু ফরোয়ার্ডদেরই কথাই বলবো না। প্রত্যেকটা ফুটবলারেই দায়িত্ব গোল করার। সুতরাং যে পজিশন থেকেই যে গোলের সুযোগ পাবে তাকেই গোল করতে হবে।
তবে গোল করার জন্য যে মূল স্টাইকার দরকার সেই স্ট্রাইকারই নেই বাংলাদেশ দলে। কাবরেবা কোনো স্পেশালিস্ট স্ট্রাইকারই দলে রাখেননি। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে মূল স্ট্রাইকার থাকলেও ক্লাব ফুটবলে উইংগার। তার সাথে অপর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রাকিব হোসেনকে দিয়ে কাবরেরা স্ট্রাইকিংয়ের কাজ করাচ্ছেন। এতে কোনো ম্যাচে সফলতো অন্য ম্যাচে ব্যর্থতা। মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে এই রাকিব, ফাহিম, মোরসালিনদের ব্যর্থতায় হার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা