ভুলের খেসারতে বাংলাদেশের হার
বাংলাদেশ ০-১ মালদ্বীপ ( আলি ফাসির)- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১
সাবেক ক্রিকেটার হালিশ শাহের ছেলে সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানীকে একাদশে চান্স দেয়া। অভিষেক হয় স্টপার ব্যাক শাকিল আহাদ তপুর। ভুটানের কাছে সেপ্টেম্বরের উইন্ডোর শেষ ম্যাচে হারের পর মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামা বাংলাদেশ দলের। এই দলের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচে অপরাজিত লাল-সবুজরা। এই বসুন্ধরা কিংসের মাঠেই মালদ্বীপের বিপক্ষে গত বছর জিতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কোয়ালিফাই করা হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনীর। তবে কাল কিংস এরিনায় তপু বর্মণদের প্রচণ্ড রকম আত্মবিশ্বাসহীনতার খেলাই তাদের সুবিধা করতে দেয়নি। নড়বড়ে ডিফেন্স লাইন, আস্থাহীনতায় ভোগা গোলরক্ষক মিতুল মারমা আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়দের নিজেদের গোল করার ব্যর্থ মানসিকতায় বেকায়দায় পড়ে দল। সঠিক জায়গায় ক্রস না করে অযথায়ই দূর থেকে পোস্টে শট নেয়ার প্রবণতাই ভুগিয়েছে। ফলে দুই ফিফা প্রীতিম্যাচের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারাল মালদ্বীপ। এখন বাংলাদেশ দলকে ১৬ নভেম্বরের পরের ম্যাচে জিততে হবে। তাহলে র্যাংকিংয়ে অবনতি রোধ করা যাবে।
একটি ম্যাচে জেতার জন্য দলের মধ্যে যে সমন্বয় দরকার তা ছিল না কাল বাংলাদেশ দলে। সাথে ভর করেছে দুর্ভাগ্য। এরই যোগ ফল ফের মালদ্বীপের কাছে হারতে হলো স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশের শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে ভালোই অবগত মালদ্বীপ। তাই শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকা কাবরেরা বাহিনীর বিপক্ষে তারা কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে থাকে। ম্যাচের ১৫ মিনিট বয়সেই বাংলাদেশ দুইবার গোলের কাছে চলে যায়। তবে মোরসালিন এবং রাকিব হোসেন তা থেকে দলকে উল্লাসে মাতাতে পারেননি। এর পরপরই প্রায় ১২শত দ্বীপের দেশটির গোল উল্লাস। এই গোলে পুরো দায় স্বাগতিক দলের। হামজা মোহাম্মদের ফ্রি-কিক ঠেকাতে না ছিল ডিফেন্স সংগঠিত, না ছিল গোলরক্ষকের দায়িত্ব বোধ। ছোট বক্সের উপর থেকে হেড হলেও মিতুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আগে ভাগে বল ক্লিয়ার বা গ্রিফ করার চেষ্টা করেননি। যার ফলে এই ফ্রি-কিকে ফাঁকায় হেড দিয়ে বল জালে পাঠান আলী ফাসির। ১৮ মিনিটের এই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মাঠের হাজার ছয়েক দর্শকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ চেষ্টা করে সমতা আনার। ১৯ মিনিটেই সোহেল রানা পারেননি দলকে খেলায় ফেরাতে।
৩০ মিনিটে ঈসা ফয়সালের ক্রসে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম দর্শনীয় ভলি নিয়েও তা পোস্টের সামান্য পাশ দিয়ে যায়। ৪৪ মিনিটে সোহেল রানার শট গোলে যায়নি কপাল দোষে। বক্সের কোনা থেকে নেয়া তার বাম পায়ের বুলেট গতির শট পোস্টে প্রতিহত হয়। বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড লাইনের অন্যতম ভরসা রাকিব হোসেন। নিজে গোল করেন এবং অ্যাসিস্টে থাকেন। তবে কাল তার স্বার্থপরের মতো খেলাই হারের অন্যতম কারণ।
৬৪ মিনিটে বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন। ফাহিম, সোহেল রানা, কাজেম শাহ বদলে মাঠে আসেন চন্দন রায়, শাহরিয়ার ইমন ও মজিবুর রহমান জনি। এতে আক্রমণে গতি বাড়লেও গোল আর আসেনি। মালদ্বীপের গোলরক্ষক এবং ডিফেন্স লাইনের প্রতিরোধ ছিলই। এরপরও লাল-সবুজ জার্সিধারীরা বক্সে ফাইনাল পাসটা সঠিক করতে পারেননি। আর একটু দূর থেকে ৭৪ ও ৮০ মিনিটে যে শটগুলো নিয়েছিলেন জনি, মোরসালিনরা তা রুখে দেন বিপক্ষ কিপার হুসাইন শরীফ।
সাত মিনিট ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ সময়ে রাকিবের ফ্লিক পোস্ট ঘেঁষে গেলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ দেখতে সভাপতি তাবিথ আওয়ালের নেতৃত্বে বাফুফের নির্বাচিত কমিটির প্রায় সবাই মাঠে আসেন। কিন্তু তাদের হারের কষ্ট নিয়েই ফিরতে হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা