১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আজ

শারজায় রেকর্ড করতে চায় বাংলাদেশ

-


শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে কখনো শোনা যায়নি বাংলাদেশের জয়ধ্বনি, সেই মাঠেই নতুন ইতিহাসের সূচনা। ১৯৯০ সালের পর শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৪ বছরে এটাই প্রথম জয় বাংলাদেশের। আফগানদের ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজেও ফিরল দল। সিরিজ খোয়ানোর ভয় কাটিয়ে বাংলাদেশ দলের সামনে এখন সিরিজ জয়ের হাতছানি। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আজ বিকেল ৪টায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চায়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজে এখন ১-১ সমতা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যে ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা। ফলে তৃতীয় ওয়ানডেটি সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে রূপ নিয়েছে। সিরিজে সমতা আনার পাশাপাশি শারজাহর মাঠে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর ১৮ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এখন ১১টি এবং হার সাতটি।
প্রথম দুই ম্যাচে যে দল আগে ব্যাট করছে তারাই সহজ জয় পেয়েছে। তাই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস বড় ভূমিকা রাখবে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। সিরিজ জিততে হলে দলকে আরও উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন শান্ত।

দ্বিতীয় ম্যাচের পর শান্ত বলেন, ‘এখন একটু ভালো লাগছে। কিন্তু এখনো কিছু বাকি আছে। আমাদের পরের ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সত্যি বলতে আমি খুশি নই। স্পিনের বিপক্ষে উইকেট কঠিন ছিল বলে আমাকে একটু বেশিক্ষণ ব্যাট করতে হয়েছে। ব্যাটারদের উইকেটের গুরুত্ব দিতে হবে।’
গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরেই বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ব্যাট হাতে ২৫ রান করার পর বোলিংয়ে ২৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন নাসুম। এ ছাড়াও দুই উইকেট নিয়ে দলের জন্য অবদান রেখেছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের স্পিনাররা যে ধরনের পারফরম্যান্স করেছিল তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রশিদ খান-গাজানফারদের ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের স্পিনাররা।
স্পিনারদের পারফরম্যান্সের কারণে তৃতীয় ম্যাচের আগে দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বলে জানান অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘মিরাজ ও নাসুম যেভাবে বোলিং করেছে, এ জন্য কৃতিত্ব তাদের দিতে হবে। গুরবাজকে শুরুতে আউট করেছে তাসকিন। শুরুতে এমনটাই চেয়েছিলাম। কারণ সে আফগানদের একজন গুরুত্ব¡পূর্ণ ব্যাটার।’

গত বছরের জুলাইয়ের আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই হারের আগ পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত রেকর্ড ছিল টাইগারদের। নিজেদের পছন্দের ফরম্যাটে সিরিজ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে বাজে অধ্যায়ের সূচনা হয়। তবে শেষ ম্যাচে জয় পেলে আফগানিস্তানের কাছে টানা দ্বিতীয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজে হার এড়াতে পারবে বাংলাদেশ। শান্ত বলেন, দল এখন সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আমাদের আরো ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। জাকের যেভাবে ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট করেছে সেটি দুর্দান্ত ছিল। আশা করি, আমরা ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারব। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পাওয়ায় শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এ দিকে হাশমতুল্লাহ শাহিদি সিরিজ জয়ের আগাম ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে মাঝের দিকে আমরা ব্যাকফুটে চলে যায়। রিদম নষ্ট হয়ে যায়। সেখান থেকে আর বেরুতে পারিনি। তবে তাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। প্রথম ম্যাচের আমেজই থাকবে আফগান দলে। গত দুই ম্যাচে টস জয়ী দল জিতেছে। সে হিসেবে কাল (আজ) টসটা ইমপরটেন্ট। সেটি বড় কথা নয়। পারফর্ম করতে হবে তিন বিভাগেই। আমরা সে জন্য প্রস্তুত এবং প্রত্যাশা সিরিজ জয়।’

 


আরো সংবাদ



premium cement