১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়া জয় পাকিস্তানের

সিরিজ জয়ের পর ট্রফি হাতে ফটোসেশনে পাকিস্তান ক্রিকেট দল : ক্রিকইনফো -


ক্রিকেটে পাকিস্তানকে নিয়ে কখনো শেষ কথা বলার সুযোগ নেই। মাঠে বেহাল দশা থেকে হুট করেই ৩৬০ ডিগ্রি মোড় নিয়ে ভিন্ন এক দলে পরিণত হতে জুড়ি নেই এই দলের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ধবলধোলাই হওয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড করে হারের পর দোর্দন্ড প্রতাপে ফিরে এসে সিরিজ জয়। সবশেষ অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাঠেই নাস্তানাবুদ করে সিরিজ জয়। এই ‘অনিশ্চিত’ পাকিস্তান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে গতকাল অসিদের হারিয়ে ২২ বছর পর দেশটিতে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা ঘুচাল। অলিখিত ফাইনালে জশ ইংলিশদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করার সীমাহীন আনন্দে মেতে ওঠে মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। এর আগে ২০০২ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতে ফিরেছিল এই দল।

পার্থে যেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের একপেশে লড়াইয়ের দৃশ্যই ফিরে আসা। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের পেসারদের তোপে ৩১.৫ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তারপর সহজ লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। আগের ম্যাচের রেকর্ড নতুন করে লিখে নিজেদের ইতিহাসে অসিদের সর্বনিম্ন রানে অল আউট করে সফরকারীরা।

বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের জন্য গুরুত্বপুর্ণদের বিশ্রামে দিয়ে এখন দলের নিয়মিত একাধিক ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রেখে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলারদের সামনে অসহায় ছিল তারা। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শন অ্যাবট। বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যেই। ৩টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। তবে ৭ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নেয়া হারিস হন ম্যাচসেরা। তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরষ্কারও যায় এই পেসারের হাতেই। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ২৬টি উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসাররা, যা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দলটির সর্বোচ্চ।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় সাইম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শাফিকের ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটিই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয় পাকিস্তানকে। দুই ব্যাটার একবার করে জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৫২ বলে ৪২ করেন আইয়ুব আর শফিক খেলেন ৫৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। দলীয় ৮৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট পতনের পর বাবর আজম ও রিজওয়ানের ৫৮ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৩৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

 


আরো সংবাদ



premium cement