আত্মবিশ্বাস ফেরার মিশনে বাংলাদেশ
- জসিম উদ্দিন রানা
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আরব আমিরাতের শারজার এই মাঠে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামছে ২৯ বছর পর। বর্তমান বাংলাদেশ দলের কোনো খেলোয়াড়ের এই মাঠে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। শেষবার এই ভেনুতে বাংলাদেশ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল ২৯ বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। তখন বর্তমান বাংলাদেশ দলের অনেক খেলোয়াড়ের জন্মও হয়নি। আফগানদের চাওয়াতেই নিরপেক্ষ ভেনু শারজায় হবে সিরিজের ডে-নাইট ওয়ানডে ম্যাচগুলো। আজ বিকেল ৪টায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডে ৯ ও ১১ নভেম্বর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিষাদের সিরিজ শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানদের বিপক্ষে ছন্দে ফেরার মিশনে বাংলাদেশ দল। সিরিজের পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর থাকছে ওয়ালটন।
এই শারজাতেই আফগানিস্তান এই সিরিজে খেলতে নামছে গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর বিশাল আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে। তাদের হারাতে পারলে বাংলাদেশকে কেন নয়।
অন্য দিকে বাংলাদেশ শেষ দু’টি টেস্ট সিরিজে যে দুর্বল বা ভাঙ্গাচোরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়াটাই দলের বড় সঙ্কট। ভারতের মাটিতে ধবল ধোলাইয়ের পর নিজে মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টানা চার ম্যাচে ন্যূনতম প্রতিরোধ নেই। একপেশে ভঙ্গিতে বড় ব্যবধানে হার। এক থেকে ছয় নম্বর পর্যন্ত ব্যাটারদের একযোগে ফর্মহীন হয়ে পড়া। আফগানিস্তান ওয়ানডেতে বরাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।
ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে জয়ের ছন্দে ফেরার লড়াই বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে দুই দলের ১৬ দেখায় ১০ জয় বাংলাদেশের, আফগানিস্তানের জয় ছয় ম্যাচে। রেকর্ডে বাংলাদেশ এগিয়ে। কিন্তু বর্তমান পারফরম্যান্স ও খেলা বিবেচনা এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান অনেকটা এগিয়ে। তাদেরকেই ফেভারিট মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে সকল পরিসংখ্যান তাদের পক্ষে। এ বছর সেখানে খেলা পাঁচটি ওয়ানডের মধ্যে চারটিই জিতেছে। তাদের বিপক্ষে যেকোনো সিরিজের শুরুতে দলটির বোলিং আক্রমণ নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। এবারো ব্যতিক্রম নয়।
এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দল দীর্ঘ আট মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে। অন্য দুই সংস্করণের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক যা অবস্থা, তাতে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই। তবুও ভালো কিছুর আশা তো করতেই হচ্ছে। অধিনায়ক শান্ত আগেই বলেছেন, টপ অর্ডার কী করে তা তার বোধগম্য নয়। তারা পরবর্তী ব্যাটারদের চাপে ফেলছে।
মূলত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির লক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে এই সিরিজ। এরপর বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েও তিনটি ওয়ানডে খেলবে। তাই প্রতিটি ম্যাচ এখন থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ। নিজেদের প্রস্তুতির সেরাটা দিতে মাঠে পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।
দুই দলের প্রথম ওয়ানডে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অথচ বাংলাদেশের স্কোয়াডের দুই ক্রিকেটার ভিসা জটিলতায়। পেসার নাহিদ রানা ও স্পিনার নাসুম আহমেদের প্রথম ওয়ানডে খেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোটায়। সাকিবের বিকল্প বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে নাসুমকে দলে নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ তাকে ছাড়াই সাজাতে হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা।
সিরিজের আগে সবচেয়ে আগ্রহ ছিল অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে। তিন সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। অবশেষে তার নেতৃত্বেই আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। এই সিরিজে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে দলে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা