৩০টির বেশি দুর্নীতি বিপিএলে

ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে দাপট চলছে ফ্রাঞ্চাইজি লিগের। কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা পরিপালন করে না বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তা স্টিভ রিচার্ডসন। রিচার্ডসনের তথ্য মতে, কয়েকটি টি-২০ লিগের আয়োজক কর্তৃপক্ষ ও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের দুর্নীতি নিয়ে আইসিসি চিন্তিত।
এসব দুর্নীতির প্রসার নিয়ে রিচার্ডসনের সাথে কথা হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের। তার দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশের বিপিএলে গত দুই বছরে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৩০টির বেশি। এরপরও কাউকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এমনকি অনেকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলাও চালিয়ে যান।
টেলিগ্রাফের ‘কিভাবে ক্রিকেট নিজেকেই খেয়েছে’ শিরোনামের বিশেষ প্রতিবেদনে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ও লিজেন্ডস লিগে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিষয়ে বলা হয়, অন্য অনেক লিগের মতো বিপিএলও দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আইসিসিকে তালিকাভুক্ত করেনি। এই কাজটি স্বল্প খরচে তারা নিজেরাই করে।

‘সর্বশেষ দুই বছরের বিপিএলে ৩০টির বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু একজনও নিষিদ্ধ হয়নি। প্রায়ই দুর্নীতির অভিযুক্তরা প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত বছরের পর বছর খেলায়ও থেকে যান।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘অভিযোগ জানাতে অনেক খেলোয়াড়ই ভয় পান। প্রথম কারণ তাদের পারিশ্রমিক না-ও দেয়া হতে পারে, দ্বিতীয় কারণ- নিজেদের অনিরাপদ বোধ করতে পারেন। তারা তখনই জানান, যখন সরাসরি অ্যাপ্রোচ করা হয়। কিন্তু শুধু সন্দেহের ওপর খুব কমই বলেন।’
রিচার্ডসন বলেন, ‘যখন ছোট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিজস্ব ইভেন্ট কাভার করে, তখন ঝুঁকি হচ্ছে, এর মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী বিধান কি ততটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে? আইসিসি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, তাদের সাথে অভিজ্ঞতা ও তথ্যের জন্য যোগাযোগ না করে একজন দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তা মাঠে থাকলেই লিগকে সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করা যায় না। এর মধ্যে অনেক কিছুই আছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সব সময়ই দুর্নীতিবাজরা তৎপর হওয়ার চেষ্টা করেন। এর অর্থ এই নয় যে, সব লিগে দুর্নীতিবাজরা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো উদ্দেশ্যের মানুষ, যারা হয়তো বুঝতেই পারছেন না যে তারা কী করছেন।’