স্কিল ও মানসিকতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ : শান্ত
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
দামি কোচিং স্টাফ, অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা, ক্রিকেটারদেরও নেই চেষ্টার কমতি। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন লাভ হচ্ছে না। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে খারাপ পারফরম্যান্স। প্রশ্ন উঠছে টেস্ট খেলার যোগ্যতা নিয়ে। আর এর মূলে ব্যাটিং ব্যর্থতা। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন স্কিল ও মানসিকতা দুই দিক দিয়েই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। স্কিল বাড়ানোর পাশাপাশি মন-মানসিকতাতেও উন্নতির প্রয়োজন।
শান্ত বলেন, ‘আমাদের স্কিলের অনেক জায়গা আছে যেখানে উন্নতি করতে হবে, পাশাপাশি চিন্তাভাবনাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। উন্নতি করতে হবে এটা তো অনেক দিন ধরেই বলছি। কোন জায়গায় উন্নতি দরকার এটি খুঁজে বের করতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা যে উইকেটে দেদার রান বের করে আনে, সেখানেই বাংলাদেশ ব্যাট হাতে নামলে মনে হয় বোলিং উইকেট। টপাটপ উইকেট হারিয়ে মুহূর্তেই ইনিংসের অবসান। সাজঘরে ফেরার মিছিল। দর্শকরা এসব দেখতে দেখতে ক্লান্ত। কেউ কেউ উইকেটের ওপর দোষ চাপালেও, এবার শান্ত সেই সুযোগটাও রাখলেন না। সরাসরি দায় চাপালেন ব্যাটিং ব্যর্থতার ওপর। ‘উইকেট নিয়ে বেশ কিছু দিন নয়, অনেক দিন থেকেই আমরা কথা বলি। উইকেট ভালো ছিল। মিরপুরেও আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, এত তাড়াতাড়ি আউট হওয়ার কথা না। দুই টেস্টেই আমরা ব্যাটিং ভালো করিনি।
পাকিস্তান জয়ের সাফল্য যেন সুদূর অতীতে চলে গেছে সর্বশেষ চার টেস্টের ব্যর্থতায়। বাংলাদেশ টেস্ট দলকে নিয়ে সবারই প্রত্যাশা বেড়েছিল। তবে প্রত্যাশার কানাকড়িও পূরণ হয়নি, উল্টো ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা চার টেস্টে হারতে হয়েছে বাজেভাবে। আর এমন ব্যর্থতার পর রাগে-ক্ষোভে-হতাশায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে এরকম ফলাফলই হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৭৫ রানে করেছিল ইনিংস ঘোষণা। সেই একই উইকেটে বাংলাদেশ দু’বার অলআউট ১৫৯ আর ১৪৩ রানে। বাংলাদেশের যে এখনো অনেক উন্নতি প্রয়োজন, তা আর আড়াল করার সুযোগ নেই। শান্ত বলেন, ‘এটি তো অবশ্যই খুবই হতাশাজনক। এগুলো থেকে বোঝা যায় আমাদের কত উন্নতির জায়গা আছে। পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিতেছি। মাঠে, মাঠের বাইরে অনেকগুলো জায়গা আছে যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই শুধু নয়, টেস্টে এই মলিন এবং দৃষ্টিকটু ব্যাটিং দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে অকপটে তা স্বীকার করলেন শান্ত। তিনি জানান, ‘শুধু এই দুই ইনিংস বলব না। খেয়াল করে দেখেন, লম্বা সময় ধরেই এরকম হচ্ছে। টেস্টে টপ অর্ডার থেকে যদি পার্টনারশিপ না হয় তাহলে পরের ব্যাটারদের জন্য খুবই কঠিন লাল বলের ক্রিকেটে। ওপরে যারা ব্যাটিং করে তারা কী চিন্তা করে বা কী ধরনের প্রস্তুতি নেয় আমি জানি না। তবে এভাবে যদি চলতে থাকে, এরকম ফলাফলই হবে।’
এ সময় মাঠের বাইরের উন্নতি প্রসঙ্গে নিজের ব্যাখ্যা দেন অধিনায়ক। তিনি জানান, ‘মাঠের বাইরের বলতে আমি খেলোয়াড়দের স্কিলে উন্নতির কথা বলেছি, অন্য কিছু বুঝাইনি। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ব্যাটিং এরকম হচ্ছে। যখন প্র্যাকটিস করি, ওই জায়গায় ঘাটতি আছে কি না খেয়াল রাখা দরকার।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা