ব্যাটিং পিচ কি করে বোলিং পিচ হয়ে যায়
- জসিম উদ্দিন রানা
- ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়ারা ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ৩৮ রান করতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টেস্টের বাকি আরো তিন দিন। সামনে যে কী লজ্জাজনক পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে, তা অনেকটাই অনুমেয়। ৪০ মিনিট, ৫৪ বল। মানে ৯ ওভারে নেই ৪ উইকেট। অতিরিক্ত ১৩ রানসহ মোট ৩৮ রান। একটা বিষয় প্রায় পরিষ্কার-যথারীতি এই টেস্টও একতরফা ভঙ্গিতে হারছে বাংলাদেশ।
১৪৪.২ ওভার ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের এমন বেহাল দশা। দুই দিন জুড়ে থাকা ব্যাটিং স্বর্গ মাত্র ৪০ মিনিটে রূপ নিলো নরকে। অথচ একই উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরি হয়েছে ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে ২টি। প্রতিপক্ষ ব্যাটিং করলে ব্যাটিং উইকেট, বাংলাদেশ ব্যাটিং করলে সেটা বোলিং সহায়ক উইকেট। ভেনু, সংস্করণ যা-ই হোক না কেন, বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের চিত্রটা বদলায় না। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি চোখে সর্ষে ফুল দেখছে সাগরিকায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুর তিন উইকেট নিতে বাংলাদেশের পুরো একটা দিন সময় লেগে যায়। আর বাংলাদেশের শুরুর চার উইকেটের পতন হলো মাত্র সপ্তম ওভারে দলে রান তখন মাত্র ৩২। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ৩ উইকেট হারিয়েছিল ৯৮.২ ওভারে এসে, তাও যখন রান ছিল ৩৮৬। এই হিসাবই জানান দিচ্ছে আরেকটি অসম লড়াই হতে চলেছে চট্টগ্রাম টেস্টেও। যে লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অপেক্ষা বড় জয়ের। আর ভক্তদের দেখতে হবে বাংলাদেশের একরাশ মলিন মুখ।
দল যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন, স্পিন কোচ সাকলায়েন মুশতাক টাইগারদের ওপর বিশ্বাস হারান না। উদাহরণ দিয়ে জানালেন, একটি গাছ রাতারাতি বড় হয়ে যায় না, যত্ন করলে একসময় ফল ও ছায়া দুই-ই দেয়। কিন্তু কথা হলো, একটি টেস্ট দলকে যদি গাছের সাথেই তুলনা করা হয়, ২৪ বছর সময় কি যথেষ্ট নয়? একটি করে বছর যাচ্ছে, বাংলাদেশ টেস্ট দলের এক এক করে বয়স বাড়ছে। হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটার দিন যেন শেষই হচ্ছে না। বল হাতে নিলে প্রতিপক্ষকে আউট করতে না পেরে সেশনের পর সেশন খেটেযাওয়া। আবার সেই উইকেটেই ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া। এ ধারা থেকে বের হতে আর কত বছর সময় নিবে নখদন্ত-হুঙ্কারহীন টাইগাররা।
শেষ বিকেলে প্রথম ইনিংসে টপাটপ ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাজঘরে ফিরে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, হাসান মাহমুদ ও সাদমান ইসলাম। ৬ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন সাদমান। জাকির খেলেন ৮ বলে ২ রানের ইনিংস। অন্য দিকে জয় ২১ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। হাসান মাহমুদও ৭ বলে ৩ রান করে কেশব মহারাজের বলে বোল্ড হন। মাত্র ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি কোণঠাসা। এখনো ৫৩৭ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
ঢাকা টেস্টের মতো চট্টগ্রামেও বাংলাদেশের বোলিংয়ে ছিলেন ওই একজনই- তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুর পাঁচ উইকেটের সবগুলোই তার। ম্যারাথন স্পেলের বোলিং করেন তাইজুল এই ইনিংসে। ৫২.২ ওভারে ১৯৮ রান খরচায় পান ৫ উইকেট। ইনিংসে এটি তার ১৪বারের মতো পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকারের ঘটনা।
শেষ বিকেলে ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ যে ব্যাটিং করল তা দেখে মনে হচ্ছিল শতছিদ্র ছাতা দিয়ে ঝড় বৃষ্টি ঠেকানোর চেষ্টা। সাদমান লেগসাইডের গ্লান্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। জাকির হাসানের ব্যাটে পরিস্কার স্নিক। আম্পায়ার আঙ্গুল তুললেন। কিন্তু কি আশ্চর্য সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করলেন জাকির হাসান। রিপ্লেতে পরিস্কার দেখা গেল বল তার ব্যাটে লেগেছে। জাকির আউট হলেন সেই সঙ্গে একটা রিভিউও নষ্ট করলেন। এর অর্থ কনফিডেন্স লেভেল কম। নিজেও ফিরলেন, দলের ক্ষতিও করলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা