ফুটবলারদের দুষলেন বসুন্ধরার কোচ
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দফায় দফায় এএফসি কাপে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার বসুন্ধরা কিংসের আশা ছিল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ভালো করার। অথচ এএফসির নতুন করে প্রবর্তিত এই চ্যালেঞ্জ লিগেও হতাশ করেছে বাংলাদেশ সেরা ক্লাবটি। টানা দুই ম্যাচে হেরে বিদায় নিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে লেবাননের নেজমেহ এফসির কাছে ০-১ গোলে হারের পর পরশু রাতে ভারতের ইস্টবেঙ্গলের কাছে ০-৪ গোলে হার। চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। নেজমেহর কাছে সাদউদ্দিনের আত্মঘাতী গোলে বসুন্ধরা কিংসকে হারতে হয়েছিল। দুই হারের ফলে গত সিজনে ঘরোয়া ফুটবলে তিন ট্রফিই জেতা বসুন্ধরা কিংসকে এখন নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে হবে আগামীকাল ভুটানের পারো এফসির বিপক্ষে। পরশু অপর ম্যাচে নেজমেহ ২-১ গোলে জয় পায় পারো এফসির বিপক্ষে। পারো প্রথম ম্যাচে ২-২-এ রুখে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
এই প্রথম কলকাতার ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলল বসুন্ধরা। তবে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশী ক্লাবটি। ২ মিনিটে প্রথম গোল হজম। দলের রোমানিয়ার কোচ ভ্যালেরিও তিতার মতে এই হারের জন্য দায়ী ফুটবলাররা। বিশেষ করে মিডফিল্ডারদের ব্যর্থতায় এই বাজে হার। ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এই কোচ জানান, ম্যাচের ২ মিনিটেই যদি একটি দল ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে তাহলে তাদেরতো ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। এর পরও ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল। কিন্তু এরপর ৩০ মিনিটের মধ্যে চার গোল খেলে কিভাবে লড়াই করা যায়। আমি ফুটবলারদের বলেছি ইস্টবেঙ্গলের চারজন বিপজ্জনক খেলোয়াড় আছে। এদের সুযোগ দেয়া যাবে না। এরা কাউন্টারে খুবই ভয়ঙ্কর। কিন্তু এই কাউন্টারে আমরা তাদের রুখতে পারিনি। তিনি যোগ করেন, যদিও আমরা বিরতির পর ভালো খেলেছি। চার-পাঁচটি গোলের চান্স পেয়েছি। সেগুলোও ফুটবলাররা কাজে লাগাতে পারেনি। ফাহিম একাই তিনটি চান্স মিস করেছে। নেজমেহ এর বিপক্ষে আমরা এভাবে কয়েকটি ক্লিয়ার চান্স কাজে লাগাতে পারিনি।
ফুটবলাররা ট্রানজিশনাল মোমেন্ট ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন তিতা। সে সাথে দলে মানসম্পন্ন স্ট্রাইকারের অভারে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জানান, আমাদের মূল স্ট্রাইকার ইনজুরিতে পড়েছেন। ফলে গোল করার মতো কেউ ছিল না। এ ছাড়া মিডফিল্ডের চালিকাশক্তি মিগুয়েল এক সপ্তাহ আগে ক্যাম্পে এসেছে। তার আনফিট অবস্থায়। ১০ কেজি বেশি ওজন নিয়ে। ফুটবল তো ১০ জনের খেলা নয়, ১১ জনের। প্রত্যেককেই ফিট থাকতে হবে। এসবই দলের এই হারের পেছনে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা