৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বর্ণবাদেরই শিকার ভিনিসিয়াস!

-


ফুটবলারদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত প্রশংসা পুরস্কার হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ব্যালন ডি’অর। ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ দ্বারা প্রতি বছরই এই পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয় সেরা ফুটবলারের হাতে, যা ১৯৫৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল, এই সেরার স্বীকৃতির ৬৮তম সংস্করণটি হয়ে গেল গত পরশু প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে। প্রথমবারের মতো বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকীয়ভাবে অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফাঁস হয়ে যায় বিজেতার নাম। বর্ষসেরার এই স্বীকৃতিতে ভিনিসিয়াস প্রথম নন, স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি।
ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রির হাতে এই পুরস্কার উঠার পর ভিনিসিয়াসকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের পোস্ট করতে থাকেন রিয়ালের সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা। পুরস্কারদাতাদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন অনেক ফুটবলভক্ত। মুখ খুলেছেন ভিনিও। তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছে ব্রাজিল সরকার। সর্বসাধারণের উদ্দেশে এরই মধ্যে বার্তাও দিয়েছে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেয়া সেই বার্তায় লিখেছে, ‘তুমি বিশাল একজন ও এর মধ্যেই ফুটবলে ইতিহাস গড়েছ। আর সেটা শুধু মাঠে তোমার অনবদ্য সামর্থ্যের জন্যই নয়, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অক্লান্ত লড়াইয়ের জন্যও।’

এক্সে একটি পোস্ট করে ভিনিসিয়াস দাবি করেন, আসলে তাকে পুরস্কার দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষই। ভিনি লেখেন, ‘দরকার হলে এই কাজ আমি ১০ বার করতে প্রস্তুত। কিন্তু তারা প্রস্তুত নয়।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই টুইট ভাইরাল হওয়ায় পরে ব্যাখ্যা দেয় রিয়ালের ম্যানেজমেন্ট।
ম্যানেজমেন্টের ব্যাখ্যায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, পোস্টটি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন ভিনি। ব্রাজিলিয়ান তারকা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, বর্ণবাদই তাকে পুরস্কার জিততে দেয়নি। বলেছেন যে, ‘ফুটবল বিশ্ব প্রস্তুত নয়।’ এমন একজন খেলোয়াড়কে গ্রহণ করুন যিনি সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ভিনির ক্যারিয়ারের শুরুর ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো এক বার্তায় লিখেছে, ‘রাজ্যাভিষেকের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এটা যদি পুরস্কারের জন্য যারা ভোট দিয়েছে, তাদের থেকে না এসে থাকে, যারা তোমাকে সেরা মনে করে, তাদের কাছ থেকে আসবে।’
ব্রাজিলের নারী ফুটবল কিংবদন্তি মার্তাও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক ভিডিওবার্তায় ব্যালন ডি’অর ট্রফি নিয়েই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন, ‘ব্যালন ডি’অর কী জিনিস?’ মার্তা তার লম্বা ক্যারিয়ারে ছয়বার ফিফার বর্ষসেরা হলেও কখনোই ব্যালন ডি’অর জেতেননি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় আটক বাংলাদেশী নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে আবু সাঈদসহ জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে দেশে ইসলামি পরিবেশ আসবে : খলীল আহমদ কাসেমী আলোকচিত্রে জলবায়ু সহনশীলতার সাহসী গল্প গাজীপুর জেলা পরিষদ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সহায়তা প্রদান বেতাগীতে নয়া দিগন্তের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা আবারো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্ধেক ভোটার : জরিপ স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু

সকল