২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সাগরিকায় জয়ের বিশ্বাস স্বাগতিকদের

চট্টগ্রামে আজ শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে গতকাল অনুশীলনে তাইজুলদের সাথে কোচ ফিল সিমন্স : বিসিবি -


মিরপুরে কাগিসো রাবাদা বল হাতে আলো ছড়ালেও উইকেট পুরোপুরি পেস সহায়ক ছিল এটা বলার সুযোগ নেই। প্রথাগতভাবে মিরপুরের উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। তবে বোলিংয়ে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম ছাড়া বাংলাদেশের কেউই সেভাবে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে করে দেখাতে পারেননি। মিরপুরে সুবিধা করতে না পারলেও তারা চট্টগ্রামে কামব্যাক করবেন বলে বিশ্বাস স্বাগতিকদের।
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছিলেন তাইজুল। ১০৮ রান ৬ উইকেটের পাঁচটিই নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এমন অবস্থা থেকে কাইল ভেরিয়েন্নের সেঞ্চুরি ও উইয়ান মুল্ডারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০৮ রানের পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। তাইজুল একা ৫ উইকেট নিলেও একাদশের বাকি থদুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন মাত্র দুই উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৮ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন নাঈম। মিরাজ ২ উইকেট পেয়েছেন ১৫.৪ ওভারে ৬৩ রান খরচায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার তিন উইকেটের সব কটি নিয়েছেন তাইজুল। মিরাজ ও নাঈম মিলে চার ওভার বোলিং করলেও কেউই উইকেটের দেখা পাননি। নিজেদের চেনা মাঠে তাদের এমন পারফরম্যান্স পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তাইজুল এসব না ভেবে নিজেদের উপর আস্থা রাখছেন।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরুর আগে তাদের নিয়ে তাইজুল বলেন, আপনি নাঈমের রেকর্ড দেখলে বুঝবেন, তার রেকর্ডও কিন্তু খারাপ না। যথেষ্ট ভালো রেকর্ডই। এক ম্যাচে উইকেট পায়নি বলে সে পারবে না, এরকম না। এক ম্যাচ এমন হতেই পারে। সামনে যে ম্যাচ আছে, তারা কামব্যাক করবে, ভালো কিছু করবে। পূর্ববর্তী রেকর্ড যদি দেখেন, মিরাজ গত সিরিজেও ভারতে-পাকিস্তানে যথেষ্ট ভালো বল করেছে। এবং দলকে জেতাতে সাহায্য করছে। নাঈমও পূর্ববর্তী ম্যাচ যেগুলো খেলেছে চট্টগ্রাম, মিরপুরে ভালো করেছে।’
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার দুই পেসারের সঙ্গে কেশভ মহারাজের বোলিংয়ে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। থদুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি একাদশের সাতজন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য মিরাজ ৯৭ ও জাকের আলী অনিক ৫৮ রান করেছিলেন।

বাকিদের মাঝে বিশ পেরোনো ইনিংস খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল জয়। ব্যক্তিগতভাবে একেকজন ভালো করলেও চট্টগ্রামে তাইজুলের চাওয়া দু-একজনের হাফ সেঞ্চুরি কিংবা সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটারদের আরও একটা সুযোগ দেখছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তাইজুল বলেন, আপনি প্রত্যেকটা ম্যাচ আসা মানেই একটা সুযোগ। সে দিক থেকে আমার মনে হয় যে আবার আরেকটা সুযোগ ব্যাটারদের কাছে আছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দল হিসেবে যে পারফরম্যান্সটা হওয়ার কথা, সেটা হচ্ছে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে একেকজন একেক ম্যাচে ভালো খেলছে। দল হিসেবে আমরা যদি দুই-তিনটা জুটি গড়তে পারি, দুয়েকজন যদি হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি করতে পারি; তাহলে হয়তো আমাদের লক্ষ্যটা বড় হবে। সবাই হার্ড ওয়ার্ক করছে, মন থেকেও চাচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে না। হয়তো এই ম্যাচে আমরা ভালো কিছু করবো।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ শুরু নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সৌদি সরকার আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দল বন্ধে সারজিস-হাসনাতের রিট হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী শতাধিক অপরাধের অভিযোগ সার্কের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো ইরান সব অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি হামলার জবাব দেবে ২৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের নিকৃষ্টতম দিন : ডা: শফিক সমালোচনার মধ্যেই চট্টগ্রামে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভিডিপিতে অস্থিরতা তৈরির পাঁয়তারা চলছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম আমের বীজ সাদ্দাম-ইনানসহ ছাত্রলীগের ২২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সকল