২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
বাফুফে নির্বাচন

জেলা লিগ নিয়মিত করার চেষ্টা করব

-

এবারের বাফুফের নির্বাচনে একেবারেই নতুন মুখ মো: নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। ঢাকার ক্রীড়াঙ্গনে তিনি অপরিচিত হলেও যশোর এবং ঝিনাইদহের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপকভাবে পরিচিত তিনি। যশোরে তার গড়া শামছুল হুদা ফুটবল অ্যাকাডেমি দেশের ফুটবলে অনেক খেলোয়াড় সরবরাহ করেছে। তা ক্লাবের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় দলেও। শুধু ফুটবলই নয়, যশোর ও ঝিনাইদহের অন্য ডিসিপ্লিনের খেলাধুলার পাশে থাকেন জাহেদী। তার প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মা এবং জাহেদী ফাউন্ডেশন পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পেয়ে থাকেন ক্রীড়াবিদদের। ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া জাহেদী এবার বাফুফের ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার এই পদে নির্বাচন করতে মূল প্রেরণাটা দেন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাবিথ আওয়াল। জানান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। তথ্য দেন, তাবিথ আওয়াল আমাকে বলেছেন, যেহেতু আমি জেলার ফুটবল উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখছি, তাই তিনি আমাকে দেশের ফুটবল উন্নয়নে বাফুফেতে একসাথে কাজ করতে পাশে চান। তাবিথের এই অনুরোধেই আমি এবার নির্বাচন করছি বাফুফেতে।
জেলার ক্রীড়া সংগঠক জাহেদী। তাই জেলার ক্রীড়াক্ষেত্রের দুঃখ-কষ্ট সমস্যা এবং সম্ভাবনা সবই তার নখ দর্পণে। কোনো সন্দেহ নেই জেলার ফুটবল উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা জেলা লিগ না হওয়া। সে সাথে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোর নেই নিজস্ব মাঠ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বরাদ্দকৃত জেলা স্টেডিয়াম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে। এই মাঠ আবার বিভিন্ন খেলার জন্য বছরের বেশির ভাগ সময়জুড়েই বরাদ্দ দেয়া থাকে। তাই নাসের জাহেদীর অনুধাবন, জেলা লিগ নিয়মিত করতেই হবে। সে সাথে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোর নিজস্ব মাঠ থাকতে হবে। জানান, ‘আমি যদি সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হই তাহলে প্রধান কাজই হবে জেলা লিগগুলো নিয়মিত করা। সে সাথে ডিএফএগুলোর যেন নিজস্ব মাঠ থাকে সে ব্যাপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী, এলিট শ্রেণীর লোকজন, সরকার এবং বাফুফের সহায়তা নেয়ার চেষ্টা করব।’ এই ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়াপ্রেমী মানুষটির আরেকটি পরিকল্পনা, ঢাকায় জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের জন্য অন্তত ২০ সিটের একটি গেস্ট হাউজের ব্যবস্থা করা। এতেই বাফুফেসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চাইবেন। যাতে জেলার ফুটবল কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে সেখানে থাকতে পারে। জাহেদী জানান, দেখা গেল এতে একই সময় একাধিক জেলার কর্মকর্তারা এক সাথে সেই গেস্ট হাউজে অবস্থান করে নিজেরা সাক্ষাৎ করতে পারছেন। সে সাথে জেলা ও দেশের ফুটবল উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা করতে পারছেন।
জাহেদীর কানে গেছে, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের ঢাকায় এসে বাফুফে ভবনে প্রবেশ করতে অনুমতি লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেখা পান না। তার ঘোষণা, আমি সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হলে ডিএফএ কর্মকর্তাদের এই ভোগান্তি দূর করব।
নেপথ্যে থেকেই খেলাধুলার সেবক নাসের জাহেদী। তার গড়া শামছুল হুদা ফুটবল অ্যাকাডেমির ব্যাপ্তি আরো বেড়েছে। অ্যাকাডেমির দু’টি মাঠ আছে এখন। আরো দু’টি মাঠেরও ব্যবস্থা হচ্ছে। রয়েছে জিমন্যাসিয়াম এবং সাঁতারের জন্য পুকুর। ফেব্রুয়ারিতে ২৪০ জন ফুটবলারের আবাসন সংবলিত ছয়তলা ভবনের উদ্বোধন হবে।
তবে নিজে কখনই কোনো ডিএফএ বা ডিএসএর সাথে সম্পৃক্ত হননি। সেই নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এবার দেশের ফুটবল উন্নয়নে সংস্কার কর্মসূচিতে অবদান রাখতে চান বাফুফের দায়িত্ব নিয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement