লাকি গ্রাউন্ডে পার্থক্য কমাতে চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টি-২০ আজ- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫
চেন্নাই, কানপুর ও গোয়ালিয়রে টানা পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দল এখন দিল্লিতে। আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ খেলতে নামবে উভয় দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাজে হারের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে ভিন্ন ভেনুতে নতুন এক ম্যাচে নতুন করেই শুরু করতে চাইবে বাংলাদেশ। জিতে পার্থক্য কমাতে চায় টাইগাররা।
হতাশার মধ্যেও আশার দিক হচ্ছে পরের ম্যাচ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। যেটি বাংলাদেশের জন্য বেশ পয়মন্ত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই মাঠেই শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে ২০১৯ সালে সিরিজের প্রথম টি-২০তে ভারতকেও ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সুখস্মৃতির এই ভেনুতে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ !
শান্ত-লিটনরা বরুণ চক্রবর্তী, মায়াঙ্ক যাদব, আর্শদীপ সিংয়ের বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় উইকেট হারিয়েছে। বলের মেরিট না বুঝেই খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হতে ব্যর্থ হয়েছে। সূর্য কুমার, অভিষেক, হার্দিকরা শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী নয়। কিন্তু তাদের কবজির জোর এবং ব্যাট সুইংয়ের ক্ষমতা বিশেষ প্রস্তুতিরই ফল। শান্তরা এই জায়গায় কাজ করতে পারে। পাওয়ার হিটিংয়ের নিবিড় অনুশীলন করা জরুরি। কোন বলে শট খেলতে হবে, কিভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে, এসব নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। গোয়ালিয়রে তাসকিনের একটা বল থার্ড ম্যান দিয়ে পাঠিয়ে একবারের জন্যও পিছনে ফিরে তাকাননি হার্দিক পান্ডিয়া। কতটুক কনফিডেন্ট হলে একজন ব্যাটার অমনটা করতে পারেন।
প্রতিপক্ষ বোলারদের বল করার লেন্থের দক্ষতাও খুব জরুরি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টেকনিক্যালি ভালো বলা গেলেও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতার অভাব রয়েছে। টি-২০ সংস্করণে এখন ১৫-২০ রান যথেষ্ট নয়। বড় রান করার লক্ষ্য থাকতে হবে। ক্রিকেট হচ্ছে রানের খেলা। এই জায়গার ঘাটতি পূরণ না হলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে পড়বে।
শান্তদের পারফরম্যান্সে হতাশ অনেকেই। ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতেও যেন বিরক্তি তামিমের, ‘দেখছেন তো খেলা, কী বলব? বাংলাদেশের অনেক মেধাবী ক্রিকেটার রয়েছে, কিন্তু তারা কেন যেন নিজেদের মেধার পুরোটা দিতে পারছে না। ক্রিকেট স্কিলের খেলা। কিন্তু আমাদের কোনো স্কিলই কাজ করেনি। সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছি।’
গোয়ালিয়র থেকে দিল্লিতে আসার পথে একই চার্টার্ড ফ্লাইটে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা। সেই ফ্লাইটেই ছিলেন তামিম ইকবাল। বিমানবন্দরে কিছুক্ষণের জন্য তারা বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। ‘সমস্যার দ্রুতই সমাধান খুঁজে পেতে হবে বাংলাদেশকে। অনুশীলনের ঘাটতি কিংবা কৌশলগত কোনো ত্রুটির কারণে এটা (সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারা) হতে পারে। এই পর্যায়ে এসে ব্যক্তিগত অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোনো সিরিজ থাকে না, তখন একজন ক্রিকেটার কিভাবে নিজের প্রস্তুতি নেবে, তা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। ম্যাচের আগের প্রস্তুতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। একজন ক্রিকেটার যখন ছন্দে থাকে, তখন অল্প সময়ের অনুশীলনও কাজে আসে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা