টি-২০ থেকে মাহমুদুল্লাহর অবসর
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। সেটিই হবে বাংলাদেশের জার্সিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শেষ টি-২০ ম্যাচ। এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-২০তে এখন পর্যন্ত ১৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। যেখানে ৮ ফিফটির সাথে ২৩.৪৮ গড় এবং প্রায় ১১৮ স্ট্রাইকরেটে ২৩৯৫ রান করেছেন। এ ছাড়া বল হাতে শিকার করেন ৪০ উইকেট। গতকাল অবসরের ঘোষণা দিয়ে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি টি-২০ থেকে অবসর নিচ্ছি। এটাই আমার শেষ সিরিজ। আসলে এখানে আসার আগেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম। কোচ, ক্যাপ্টেন সবাই জানত। আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্ত নেয়ার এটাই সঠিক সময়। পরের বিশ্বকাপের জন্য এখনই বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।’
আন্তর্জাতিক টি-২০তে মাহমুদুল্লাহর অভিষেক ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর এই ফরম্যাটে লাল-সবুজের জার্সির প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৭ বছর। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই আলোচনায় ছিলেন রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই টাইগার ক্রিকেটারের ব্যাটিংটা ঠিক টি-২০ সুলভ নয় বলেও কম সমালোচনা হচ্ছিল না। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দলে শামীম পাটোয়ারির মতো তরুণ খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে রিয়াদকে নেয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম এই ক্রিকেটার টি-২০ ক্রিকেটে এক সময় নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। তার অধীনে ২০২২ বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। ওই বিশ্বকাপে চরম হতাশা উপহার দেন ‘আনসাং হিরো’ খ্যাত মাহমুদুল্লাহ। বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সের খেসারত দিয়ে অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকে বাদও পড়েন। পরে কঠোর অনুশীলন করে দলে ফিরলেও পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটাতে পারেননি।
এর আগে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে টেস্ট সিরিজকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। হারারে টেস্টে ১৫০ রানের ইনিংস খেলে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন। হুট করে অভিমানে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন। গতকাল টি-২০কেও বিদায় বললেন তিনি। তবে ওয়ানডে ফরম্যাট চালিয়ে যাবেন। আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ওয়ানডেকেও হয়তো বিদায় জানাবেন।
নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘ভারত সিরিজের অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব নিয়ে আলচনা করা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিল এইটা সঠিক সময় নয়। আমি নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। তারপর আমি বোর্ড সভাপতি এবং নির্বাচকদের সাথে কথা বলেছি।’
সব কিছু ঠিক থাকলে ১২ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-২০ দিয়ে সীমিত ওভারের এই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মাহমুদুল্লাহ। অবশ্য এই সিরিজ শুরুর আগেই তার টি-২০ ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের বিপক্ষে দুই টি-২০ শেষে তার নামের পাশে থাকবে ১৪১ টি-২০। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে কেবল দুইজন বাংলাদেশী তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা