কাবাডিতে ক্ষমতা দখলের লড়াই
- জসিম উদ্দিন রানা
- ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫
একসময় এশিয়ান গেমস থেকে নিয়মিত পদক জেতা এই ডিসিপ্লিনটি হারিয়েছে গৌরব। এখন এশিয়াডে পদকশূন্য। তবে প্রাচুর্য বেড়েছে কয়েকগুণ। জানা গেছে, প্রায় আট কোটি টাকা রয়েছে কাবাডির ফান্ডে। তাতেই নড়েচড়ে বসেছেন অনেকেই। জীর্ণদশা থেকে বিশাল ফান্ডের কারণেই নাকি কাবাডির মসনদে বসতে চলছে কাড়াকাড়ি। কাকে পেছনে ফেলে কে হাল ধরবেন চলছে সে লড়াই।
২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে পুরুষ দল ও ২০১৮ জাকার্তা এশিয়াডে পদক হারায় মেয়ে কাবাডি দল। এরপর শত চেষ্টা করেও সেই পদক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ২০১৭ সালে পদক ফেরানোর প্রত্যয় নিয়ে কাবাডির মসনদে আসে পুলিশ বাহিনী। তারা অর্থের প্রাচুর্যতা বাড়িয়েছে ঠিকই; কিন্তু শত চেষ্টা করেও হারানো পদক ফেরাতে পারেনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কাবাডির সভাপতি ও পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি দেয় সরকার। ফলে কাবাডি থেকেও বাদ পড়েছেন তারা। গত সাত বছরে কাবাডির বর্তমান কমিটি তিল তিল করে আট কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করেছে। যার মধ্যে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকার এফডিআর এবং নগদ চার কোটি ২৫ লাখ টাকা রয়েছে ব্যাংকে। সার্চ কমিটির কর্তাদের কাছে এক সভায় এই তথ্য জানান কাবাডির যুগ্ম সম্পাদক ও ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক।
এরপরই নচেচড়ে বসে অন্যান্য কর্মকর্তা। সূত্র মতে, বিশাল অর্থের খবর পেয়েই আসন্ন কাবাডির অ্যাডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তাতেই চরম অসন্তোষ কাবাডি খেলোয়াড় ও সংগঠকদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক তারকা খেলোয়াড় বলেন, ‘কাবাডিই আমাদের সব। জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছি কাবাডিতে। আগে অর্থসঙ্কট ছিল পদক এসেছে নিয়মিত; কিন্তু এখন অর্থ রয়েছে পদক আসছে না। এটাই আমাদের কষ্ট। তবে আমরা চাই এই অর্থ কাবাডির উন্নয়নে ব্যয় হোক। যে কেউ এসে যেন অর্থের অপব্যবহার করতে না পারে, সে অনুরোধ থাকবে সার্চ কমিটির সদস্যদের কাছে।’
এ দিকে দ্রুততম সময়ে কাবাডিতে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দু’টি চিঠি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা পড়েছে। জানা গেছে, ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে দেয়া প্রথম চিঠিতে সাবেক খেলোয়াড় আসগর আলীর নাম থাকলেও সই রয়েছে আনোয়ার হোসেন আনু নামের এক সংগঠকের। সার্চ কমিটিকে দেয়া আনোয়ার হোসেন আনুর চিঠিতেও সই তার। এ বিষয়ে আসগর আলী বলেন, ‘আমার চিঠি পরিবর্তন করে আনু সই করেছে নিজে, যা আমার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা একটি অপরাধ।’
এ দিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কাবাডি বিশ্বকাপ। একই কারণে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ ও কারাতের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট সরে গেছে বাংলাদেশ থেকে। চলতি অক্টোবরে এই লিগের দ্বিতীয় আসরে অংশ নিতে দলগুলোকে চিঠিও দেয়া হয়েছিল, সেটিও বন্ধ। আওয়ামী সরকারের গত ১৫-১৬ বছর বঞ্চিত সংগঠকরা ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটি ভেঙে অ্যাডহক করতে উঠেপড়ে লেগেছেন; কিন্তু ফেডারেশনগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা