০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১,
`

স্বপ্নটা হোক আরো একটু বড়

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় টি-২০
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে গতকাল অনুশীলনে ব্যস্ত জাহানারারা : বিসিবি -


টি-২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে ১০ বছরের খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে তারা স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে ১৬ রানে। এমন ম্যাচের পর এবার দলের লক্ষ্য আরো বড় কিছু, জানালেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আজ রাত ৮টায় শারজাহ স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে টিম টাইগ্রেস।
নিগারদের সামনে চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি। মুখোমুখি হতে হবে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। এই ম্যাচগুলোতে জয় নিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে গতকাল ভিডিও বার্তায় তেমনই জানিয়েছেন ব্যাটার সোবহানা মোস্তারি। ‘যে ম্যাচগুলো বাকি আছে আরো তিনটা। সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের সাথে কালকে (আজ) যে ম্যাচ সেটা তো অবশ্যই আমরা কাউন্ট করব যেন জিততে পারি। বাকি যে ম্যাচগুলো আছে সেগুলোও ধরার চেষ্টা করব। ’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য জয়ের কোনো স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। এখন অবধি টি-২০তে তিন ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে। তবে এবার তাদের জন্য প্রেরণা ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলা ও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয়। এ নিয়ে সোবহানা বলেন, ‘ইংল্যান্ড বরাবরই ভালো। ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে সেরা তিনের মধ্যে থাকে। আমাদের খুব বেশি খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের সাথে। তার পরও আমরা আশাবাদী যে আমরা আমাদের শেষ বিশ্বকাপে অনেক ভালো করেছিলাম। আমাদের বোলিং ইউনিটটা ছিল অনেক ভালো করেছে। আশাবাদী কালকেও (আজ) ইংল্যান্ডের সাথে সর্বোচ্চ দেয়া। তারপর ফল বলে দেবে কী হবে। ’
অনেক দিন ধরেই রান খরায় ভুগছিলেন সোবহানা। এ নিয়ে তাকে সমালোচনাও সহ্য করতে হচ্ছিল। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। ৩৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। যদিও আরো ভালো করতে চান সোবাহানা। ‘খুশি বলব না। দলকে আরো কিছু দিতে পারলে ভালো লাগত। হয়তো আমি খুব খারাপ মুহূর্তে আউট হয়েছি, নিজের হাফ সেঞ্চুরিও হয়নি। আমি থাকলে হয়তো রানটা ১২৫ হতো। আশা করব এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেন আউট না হই। ’

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আগের চারবারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ হারেনি। অপরাজিত থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়েই গত বৃহস্পতিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল। ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্ম করলেও শেষ পর্যন্ত জয় পেতে সমস্যা হয়নি নিগার সুলতানাদের। তবে স্কটিশ বোলিংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং নিশ্চিত ভাবেই আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা দিয়েছে। আগে ব্যাটিং করে সাত উইকেটে ১১৯ রান তোলে তারা। জবাবে খেলতে নেমে স্কটল্যান্ডের ইনিংস থামে সাত উইকেটে ১০৩ রানে। তাতে ১৬ রানের জয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শুরু করেছে। আর তাতেই ২০১৪ বিশ্বকাপের পর আবারো বিশ্বমঞ্চে জয় পায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। মজার বিষয়টি ছিল একই ম্যাচে নিগারের হলো শততম ম্যচ আর নাহিদা পেলেন শততম উইকেট।
জ্যোতি জানালেন, এমন জয় দলের জন্য আরো বড় কিছুর মোমেন্টাম নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যত ভালো ক্রিকেটই খেলি, জয় না পেলে এর অর্থ নেই। নারী ক্রিকেটে আমরা অনেক দিন পর মনে হচ্ছে কিছু একটা করতে পেরেছি। আমরা সবসময়ই বলেছি, আমাদের মোমেন্টাম তৈরি করতে হবে, সেটা নিয়ে আগে এগোতে হবে। এখন আমরা আরো বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখছি।’

নারী টি-২০ বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে অংশ নিলেও কেবল দুই ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে গত চারটি বিশ্বকাপেই ছিল জয়হীন। সেই খরা এবার কেটেছে। ১০ বছর পর এই টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নিগার বলেন, ‘শুরুর দিকে বিষয়টা খানিকটা হৃদয়বিদারক ছিল, কারণ আমরা ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে খেলা দেখব- এমনটাই আমাদের মনে ছিল। তবে এখানে অনেকেই খেলা দেখতে এসেছেন- এটা বেশ ভালো লেগেছে। পেশাদার দল হিসেবে আমাদের এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে খেললে কী হতো, এটা ভাবা বন্ধ করতে হবে। এখানে খেলতে পারছি- সেটাও আমাদের বড় সৌভাগ্য।’
নিগার যোগ করেন, ‘আমরা নিরাপদে আছি এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। বেশ কয়েকজন দর্শকের সামনে ভালো একটি জয় পেয়েছি, নিশ্চয়ই দেশের মানুষও অনেক খুশি। পরের ম্যাচটি কিংবা আরো দুই একটা জয় ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাবে আমাদের।’

নারী ক্রিকেট দল অবহেলিত থাকবে না : আসিফ
বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে আরব আমিরাত সফরে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। এই সফরে ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। পরে বাংলাদেশ নারী দলের প্রথম জয় মাঠে বসে দেখেছেন তারা। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজকের (গতকাল) খেলা দেখার পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সফলতার ব্যাপারে আশাবাদী। আমি মূলত এসেছি যেহেতু এই নারী বিশ্বকাপটা বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা পারিনি।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আয়োজক, সেটার একটা দাম আছে দুবাইয়ে। যেহেতু আমরা আয়োজক, তাই ঘুরে দেখলাম। একই সাথে আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠ ঘুরে দেখেছি। এখানকার যে ক্রীড়া অবকাঠামো, সেটা বাংলাদেশে আমরা কিভাবে করতে পারি, সেই শিক্ষাটা নিতেই মূলত (আমিরাতে আসা)।’
পরে নারী দলকে নিয়ে বলেন, ‘নারী ক্রিকেট দল যে অবহেলিত থাকবে না, সেটা আপনারা হয়তো আমার এখানে উপস্থিতি দেখেই বুঝতে পারবেন। নারী ক্রিকেট দলের অর্জন তুলনামূলকভাবে যেহেতু বেশি এবং আমরা আশা করছি, এই বিশ্বকাপেও তারা একটা ভালো অর্জন দেশের জন্য নিয়ে আসতে পারবে। সামনের দিনগুলোতে যেন তাদের (নারী) যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারি, এই অভিযোগটা (অবহেলা) যেন না আসে, সে জন্য আমরা কাজ করব।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ আগামী দিনে দেশে নেতৃত্বে দিবে ইসলামী ছাত্রশিবির : আব্দুর জাব্বার আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ৪ বাংলাদেশী আটক চকরিয়ায় ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাইক আরোহী শিক্ষার্থী নিহত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড চাঁদপুরে, শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দোয়ারাবাজারে ৩ আ’লীগ নেতা গ্রেফতার ইসরাইলের সবগুলো গ্যাসক্ষেত্র একযোগে ধ্বংস করা হবে : আইআরজিসি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক ভারী বৃষ্টির আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযান

সকল