৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিতই

-

ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে গত বৃহস্পতিবার টি-২০ ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হয়ে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। আর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছেন সাকিব। দেশের মাটিতে খেলে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিসিবি সভাপতির বক্তব্যে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সরাসরি বলেছেন, ‘সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবে না বিসিবি।’
বিসিবি সভাপতির এই মন্তব্যে পুরো বিষয়টা চলে যায় সরকারের ওপর। তারা যদি সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে, তাহলে হয়তো অক্টোবরে দেশের মাটিতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে বিদায় নিতে পারতেন সাকিব। এরপর থেকেই সরকারের অপেক্ষায় ছিল সবাই। কারণ সাকিব এক দিকে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। অন্য দিকে তিনি আবার গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক সংসদ সদস্য এখন সাকিব।

শেষ পর্যন্ত গতকাল জানা গেল সরকারের মনোভাবও। এতে ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা তার পূরণ না-ও হতে পারে। কানপুরের বৃষ্টিবিঘিœত টেস্টই হয়ে থাকবে সাকিবের শেষ টেস্ট। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’
এদিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবি পরিচালক ও সাকিবের দীর্ঘ দিনের কোচ নাজমুল আবেদীনও ঘরের মাঠে সাকিবের শেষ টেস্ট খেলার সম্ভাবনা কম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিও চাইব ওর মতো একজন খেলোয়াড় দেশে খেলা শেষ করবে, সংস্কৃতির ব্যাপারও আছে এখানে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনিবার্য কারণবশত এ মুহূর্তে সেই সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ, ক্রিকেট বোর্ড বলেছে, যে ধরনের নিরাপত্তা সাকিব চাইছে, ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।’
তিনি যোগ করেন, সরকার ভিন্নভাবে ভাবতেও পারে। সে জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে সে সিদ্ধান্ত যেকোনো দিকেই যেতে পারে। সরকার যদি মনে করে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়, সেটাও যুক্তিসঙ্গত। আবার তার মতো একজন খেলোয়াড়কে আমরা সম্মান জানাতে চাই, সেভাবেই তার বিদায়টা হোক- সেটাও যুক্তিসঙ্গত।’

 


আরো সংবাদ



premium cement