৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

দায়ী কি ভেজা আউটফিল্ড?

দুই গ্রাউন্ডসম্যানের সাথে আউটফিল্ড পরীক্ষা করছেন আম্পায়াররা : ক্রিকইনফো -

কানপুরের আকাশ গতকাল সকাল থেকেই মেঘলা হলেও নেই কোনো বৃষ্টি। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম সেশনে না হোক, অন্তত দ্বিতীয় সেশনে তো শুরু হবে খেলা, এমনটাই আশা ছিল সবার। দ্বিতীয় দিনে কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনো মুষলধারে, আবার ভেজা আউটফিল্ড। সব মিলিয়ে টেস্টে দুই দিন ধরে চলছে খেলার অপেক্ষা। তৃতীয় দিনে বৃষ্টি না হলেও আউটফিল্ড ভেজা থাকায় স্থানীয় সময় বেলা ২টায় আম্পায়ারদের আরো একবার মাঠ পরিদর্শনে নামার কথা। এর মধ্যেই প্রেস বক্সে বিসিসিআইয়ের স্কোরার আগলেস ত্রিপাঠি আম্পায়ারদের পরবর্তী মাঠ পরিদর্শনের সময় জানাতে গিয়ে ছোট্ট করে একটা তথ্য দিলেন, ‘খেলা বন্ধ আলোক-স্বল্পতার কারণে!’
কানপুরের গ্রিন পার্কে সারা দিনে বৃষ্টি হয়নি একদমই। দুপুরের পর মিলল সূর্যের দেখা। এর মাঝে এমন কথা শোনার পর সাংবাদিকদের একটা দল হাসতে শুরু করলেন। সে হাসিতে যোগ দিলেন সেই স্কোরারও। যেন সবাই মিলে কোনো এক ‘ওপেন সিক্রেট’ নিয়ে হাসাহাসি করলেন। তৃতীয় দিনের খেলা আউটফিল্ড ভেজা থাকায় সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা, এমনটাই জানানো হয় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। যদিও সকাল থেকে ভেজা আউটফিল্ড শুকানোর কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি মাঠকর্মীদের মধ্যে। ভারতীয় সাংবাদিকদের মধ্যে এ নিয়ে ফিসফাস চলছিল। এমনিতেই অনেক অভিযোগ আছে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম নিয়ে।
অব্যবস্থাপনার কারণে সবসময়ই স্থানীয় সংবাদিকদের কড়া সমালোচনার মধ্যে থাকেন গ্রিন পার্কের কর্মকর্তারা। ভেজা আউটফিল্ডের কারণটা সে জন্যই নাকি সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। বলা হয়েছে আলোক স্বল্পতার কথা। কিন্তু দুই জায়গায় দুই রকম তথ্য দিয়ে উল্টো আরো একবার যেন বিপদই ডেকে আনল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট। আর প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনের পর থেকে বল মাঠে গড়ানোর অব্যাহত অপেক্ষার পালা গিয়ে ঠেকল চতুর্থ দিনে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement