২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্র্যাডম্যানের পাশে কামিন্দু

-


টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে টানা আট ম্যাচের প্রতিটিতে কমপক্ষে পঞ্চাশ করে গত পরশুই নতুন রেকর্ড গড়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গলে দ্বিতীয় টেস্টে গতকাল সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থাকেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার। এতে নতুন এক রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছেন কামিন্দু। এই সেঞ্চুরির সুবাদে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পাশে বসেছেন তিনি।
গলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে তিন উইকেটে ৩০৬ রান সংগ্রহ ছিল শ্রীলঙ্কার। ৭৮ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন কামিন্দু। ম্যাথুজ এ দিন ৮৮ রানে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ১৬৩.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৬০২ রান সংগ্রহ করার পর ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ততক্ষণে ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন কুশল মেন্ডিস। আর আগের দিনের ৫১ রানের সাথে ১৩১ রান যোগ করে ১৮২ রান নিয়ে ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। এরপর নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনশেষে দুই উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২২ রান। উইকেটে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন ছয় ও ইজাজ প্যাটেল ০ রানে।

এ দিন ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম প্রথম পাঁচ টেস্ট সেঞ্চুরিতে ব্র্যাডম্যানকে স্পর্শ করলেন কামিন্দু। অভিষেকের পর ব্র্যাডম্যানের পাঁচ সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল ১৩ ইনিংস। পাঁচ সেঞ্চুরি করতে সমানসংখ্যক ইনিংস লেগেছে কামিন্দুরও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হেডলিও প্রথম ৫ টেস্ট সেঞ্চুরি করতে ১৩ ইনিংস খেলেছিলেন। সব মিলিয়ে কামিন্দু এখন যৌথভাবে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে পঞ্চম শতক ছুঁলেন। আর এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এই লঙ্কানই দ্রুততম। তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে ২২ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরি করা ফুয়াদ আলমকে।

ব্র্যাডম্যানের পাশে ১৩ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরি করে কামিন্দু বসলেও সমান সেঞ্চুরিতে করতে আরো কম ইনিংস খেলেছেন স্যার এভারটন উইকস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ডান হাতি ব্যাটারের পাঁচ সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল ১০ ইনিংস। ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ইনিংসে ৪০ পর্যন্তও যেতে না পারা উইকস পরের টানা পাঁচ ইনিংসেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। এখনো যা টানা সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। এখানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের হার্বার্ট সাটক্লিফ ও ক্যারিয়ারে ৭৯টি টেস্ট খেলা অস্ট্রেলিয়ার রবার্ট নিল হার্ভি। দু’জনেরই লেগেছিল সমান ১২ ইনিংস।
১৮২ রানের ইনিংস খেলার সুবাদে আট ইনিংসে সহস্র রানের কোটা অতিক্রম করেছেন কামিন্দু। এর চেয়ে কম ইনিংসে এক হাজার রান করেছেন উইকস ও সাটক্লিফ। ১২ ইনিংসেই হাজার রানের কোটা অতিক্রম করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ব্যাটার।

 


আরো সংবাদ



premium cement