২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রোটিয়াদের হারিয়ে ইতিহাস আফগানদের

প্রোটিয়াদের হারিয়ে ইতিহাস আফগানদের -

ইতিহাস সৃষ্টি করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে আফগানিস্তান। আইসিসির পূর্ণ সদস্যের বড় দলগুলোকে এখন হরহামেশাই ঘোল খাইয়ে ইতিহাস রচনায় পটু এই আফগান দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েই যেভাবে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রশিদ খানরা, তাতে এই দলকে সমীহ না করলে বিপদে পড়তে হবে যেকোনো দলকে।
শারজায় গত পরশু টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই দুই আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি ও অফ স্পিনার মোহাম্মদ গজনফরের তোপের মুখে পড়ে ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য দলীয় ৩৬ রানে ৭ উইকেট পতনের পর পঞ্চশ পেরোনোর আগেই অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল প্রোটিয়া দল। সেখান থেকে উয়ান মুল্ডার ৫২ রানের ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে ১০৬ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৬ রানের ‘লো স্কোরিং’ ম্যাচে রান তাড়ায় শুরুতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৬৪ রানে ৪ উইকেট পতনের পর ওমরজাই ও গুলবাদিন নাইবের ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে হেসে-খেলে ৬ উইকেটের জয় পায় আফগানরা। এর আগে গত দুই বিশ্বকাপে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। ২০১৯ সালে ৯ উইকেটে ও ২০২৩ সালে ৫ উইকেটে হারতে হয়েছিল নবি-রশিদদের। তবে তৃতীয়বারের দেখায় হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে প্রোটিয়াদের হারের তেতো স্বাদ উপহার দিলো আফগানিস্তান।
ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ঐতিহাসিক এই জয়ের পর এখন সিরিজ জয়ের দিকে চোখ রাখছে আফগান শিবির। অন্য দিকে প্রথম ওয়ানডেতে অসহায় আত্মসমর্পণ করার পর সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদশে সময় সন্ধ্যা ৬টায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে মাঠে নামবে দুই দল। প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে সিরিজে ফেরার জন্য বদ্ধপরিকর এইডেন মার্করামরা।


আরো সংবাদ



premium cement