ঈ দু ল আ জ হা স ং খ্যা ২ ০ ২ ৪
- ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
আল মুজাহিদী
দিক রেখা শেষ প্রান্ত থেকে
দিকরেখা তার শেষ প্রান্ত থেকে
রশ্মিকণা বুকে করে ঢুকে পড়লো যখন
তুমি তখনো আসোনি।
পাতাবাহারে হরিৎ পত্রালি দুলে দুলে
সান্ত্বনা জানালো, শোনো, প্রেমার্ত পুরুষ।
আসবে তোমার প্রিয়তম, ঠিকই আসবে।
তুমি একটুও দুঃখ করো না।
ক্যাকটাসের সমস্ত শরীর ভর্তি ছিল
ধুলোবালি -
শেষ রশ্মিগুলো ছড়িয়ে পড়লো পৃথিবীতে
আবারো। চিকচিক করছিল
গালিচার ওপর ছড়ানো ছিটানো
শেষ বেলাকার বালিয়াড়ি ;
পৃথিবীতে শুরু হবে আবারও
জীবনের অভিষেক।
ঐ পাতাবাহারের চোখে চোখ রেখে
তুমি অপেক্ষা করো।
মাহবুব হাসান
তুমি কী দেখতে পাও?
শোল মাছের ঝোল রাঁধছিলেন মা আমার
তরতরে ঝোল
ঝলমল ঝোল
শুকনা মরিচে রান্না করা সেই ঝোলের ভেতর থেকে
স্মৃতির টুকরোগুলো
সসারের বেগে উড়ছে আমার মনে,
আমি দিব্যচক্ষে দেখতে পাচ্ছি সেই উড়ন্ত
অবিশ্বাস্য স্মৃতির শৈশব,
জ্বলজ্বলে কৈশোরের দিন, অমলিন নিসর্গের রূপ
আমার সিজদার ভেতর থেকে আমি উড়ে যাচ্ছি
পরমাণু খাসলত নিয়ে বেকসুর
সুচতুর মার্কিনী বিমান যেন,
পলকের চেয়েও পলকা সেই পলায়ন
নামাজের ভোরের সংসার থেকে,
ঘোরের ধূসর জগতের ঘুমে-
তুমি কী দেখতে পাও এই পলায়ন,
এই পরিযায়ন আমার?
সালেম সুলেরী
ঈদের ক্রন্দনদিন ফিলিস্তিন
ঈদের আনন্দ সব নোঙর করাতে চাই মুক্ত ফিলিস্তিনে।
সেখানেও কোলাকুলি হয়-- প্রতিদিন জানাজায়,
সেখানেও দিনে রাতে কুরবানি--
মানুষে-পশুতে নয়, মানুষে মানুষে রক্তপানি।
একটি প্রামাণ্য অঙ্কে সামান্যই জানা যায়--
সাত মাসে সাঁইত্রিশ হাজারকে হত্যা,
তের হাজার অবোধ শিশু আর
সাত হাজার মায়াবী নারী ঝরেছে অগত্যা।
জানি, যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়,
কিন্তু কোথায় সে শান্তিবাদ, অস্ত্রবিরতি, অভয়!
আমাকে ডাকছে ঈদের আনন্দদিন,
তারও চেয়েও অধিকতর ডাকছে স্বাধীন ফিলিস্তিন।
গলা শুকালেও গলায় নেবো না আর
শীতল পানীয়, যার নির্মাতা হত্যাকারীর সতীর্থরা,
যার মুনাফাখোর অস্ত্রক্রয়ের কুলাঙ্গার অব্যর্থরা...
মনে রেখো, কবিরাও কাবা-ছোঁয়া ‘বনু শায়বা’ সংজ্ঞায়
শান্তি সুরক্ষায় পবিত্রতায় প্রবুদ্ধতায় পিপাসাকে পায়।
ঈদের থালায় মাংস চায়। প্রভূত অন্যায়। অপেক্ষায়
ক্রোধেরা ছড়ালে অগ্নি, ঈদেরা মাতুক প্রতি-জিঘাংসায়।
কাজী জহিরুল ইসলাম
আগ্রহে আগ্রহ দেখাইনি
নিজের পায়ের ইচ্ছেকে কখনও মূল্য দিইনি
নিজের আগ্রহে আগ্রহ দেখাইনি কোনো দিন।
ঘ্রাণ শুধু নিয়েছি ফুলের ইচ্ছেতেই,
ক্ষুধার্ত দুপুরে ডেকেছে সুস্বাদু ব্যঞ্জন
জাতিসঙ্ঘ ভবন স্বপ্নের ভেতরে টেনে ধরেছে গোটানো হাত,
বিমান দিয়েছে খুলে পেটের বোতাম,
এই অভিজাত শহর, ন্যুয়র্ক, আমাকে জাপটে ধরে আছে
এক দশকের অধিক সময় ধরে।
বাসের হাতল ধরেছিল অপরিণত, অস্থির হাত,
কলেজের সেই সব অপেক্ষার দিনে,
দেহকে ঝুলিয়ে রাখতে দূরের কারো জন্যে...
হাতেরা কখনোই নিজেদের হাত হয়ে ওঠেনি,
চোখেরা কি দেখেছে নিজেদের কোনো দৃশ্য?
আমার নিঃশ্বাসেরা শুধু একবার নিঃশ্বাসের
প্রয়োজনে
আসা-যাওয়া করুক ফুসফুসের গহনে,
অন্তত একটিবার...
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা