১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নিতুর নানার আম বাগান

-

অনেক দিন হয় নানার বাড়ি যায় না নিতু। এবার মাকে বলে রেখেছে পরীক্ষা শেষ হলে গ্রীষ্মের ছুটিতে নানার বাড়ি বেড়াতে যাব। কাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। নিতু কাপড় গোছাতে থাকে নানার বাড়ি যাওয়ার জন্য। সে মিরপুর বাংলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা অফিস থেকে আসামাত্র জ্বালাতন করে বাবা, তুমি অফিস থেকে ছুটি নাও।
বাবা বলেন, এখন অফিসে কাজের অনেক চাপ। কয়েক দিন পর কাজের চাপ কমলে তোমাদের নিয়ে বেড়াতে যাব।
বাবা বুঝতে পারেন তার মেয়ে মন খারাপ করছে। ডাক দিয়ে কাছে নিয়ে বলেন, তোমরা নানার আম বাগান দেখতে যাবে?
নিতু মাথা ঝুলিয়ে বলে, হ্যাঁ বাবা।
বাবা বলেন, আম পাকতে শুরু করেছে। নিয়ে যাব তোকে।
ভেতরের রুম থেকে মা এসে বলেন, তোমার বাবা ঠিক বলেছেন। আর কয়দিন পর সবাই মিলে নানুর বাড়ি বেড়াতে যাব।
নিতু খুশি হয়ে বাবার কাছে গিয়ে বসে।
জ্যৈষ্ঠ মাস। সূর্যের তাপ খুব বেশি। রাতে কাপড় গুছিয়ে রেখেছে নিতুর মা।
আজ ছুটির দিন। সকালে নানা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় নিতুরা। নানার বাড়ি পদ্মার ওপাড়ে মাদারীপুর। ঢাকা থেকে এখন যেতে বেশি সময় লাগে না। ছুটির দিন হওয়ায় আজ যানজট নেই। নিজেদের গাড়ি সকাল ৮টার দিকে চলে আসে মাওয়া। সেতুর টোল কেটে ভোঁ করে গাড়ি চলে আসে পদ্মা ব্রিজের ওপর। কী সুন্দর দৃশ্য পদ্মা নদীর। ব্রিজ থেকে দেখা যায় সেই সব সুন্দর দৃশ্য। নিতুর বাবা গাড়ির গতি একটু কমিয়ে দেয় নিতুর আবদারে। ব্রিজের নিচ দিয়ে কত নৌকা, ট্রলার, শিপ যাচ্ছে। উপর থেকে নদীর দুই পাড়ের দৃশ্য দেখে আনন্দে ভরে যায় চোখ।
দেখতে দেখতে ব্রিজ পার হয়ে চলে আসে ভাঙা স্টেশনের কাছে। সকাল ১০টার মধ্যে নানা বাড়ি পৌঁছে যায় তারা।
নানা বিকেলে সবাইকে নিয়ে আম বাগান দেখতে বের হন। নানা বাড়ি থেকে আম বাগান দশ মিনিটের পথ। বাগানে এসে সবাই অবাক এত সুন্দর পাকা পাকা আম ঝুলছে গাছে। ঘুরে ঘুরে সবাই দেখছে। নিতুর নানা বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের আম রয়েছে। নিতু একটা বড় আম দেখে জানতে চায় নানা এই আমের নাম কি? নানা বলেন, এটা ফজলি আম নানু। এ ছাড়া এখানে আরো আছে, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপোলি, বারোমাসি, গোপাল ভোগ, খিরসাপাত, অরুনা, লখনা। নিতুর হাতে নানা কয়েকটি আম পেড়ে দিয়েছেন সেগুলো হাতে নিয়ে ঘুরছে।
আম বাগান ঘুরে সবাই ক্লান্ত। বাগানে বসার বেঞ্চের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। সেখানে সবাই বসে। বাগানের কেয়ারটেকার পাকা পাকা আম কেটে বাটি করে সামনে এনে রাখে। সবাই আম মুখে দিয়ে প্রশংসা করেন। এত মিষ্টি আম!
নিতুর নানা ব্যাংকে চাকরি করতেন। রিটায়ার্ড করেছেন কয়েক বছর আগে। সে যখন রাজশাহী কর্মরত ছিলেন তখন সেখানকার এক লোকের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর পরামর্শে আমবাগান করা।
আগে এখানে জমি ছিল। মাটি ভরাট করে কয়েক বছর আগে। সেখানে আমের বাগান করেন নিতুর নানা। এ বছর প্রথম আম ধরেছে গাছে। এই জন্য নানা তাদের আম বাগান দেখতে দাওয়াত করেছে। ভিডিও করে বাগানের ছবি পাঠিয়েছিল নিতুকে দেখার জন্য। সেই জন্য আমবাগান দেখতে সে খুব উতলা হয়ে আছে। বাগানে বসে সবাই পেটভরে খায়। নিতু খুব খুশি। নানাকে সে বলে ঢাকা যাওয়ার সময় আমি আম নিয়ে যাব।
নানা বলে, তোমাদের এক ঝুড়ি আম পাঠাব। চিন্তা করো না নানু।
নিতুর আনন্দে মন ভরে যায় নানার কথা শুনে।


আরো সংবাদ



premium cement
স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা ছিনতাই রোধে রাজধানীতে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর নির্দেশ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ জামায়াতের একজন নেতাও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি: ড. মাসুদ মালয়েশিয়ায় বেতন না পেয়ে কোম্পানির অফিস ঘেরাও-অবরোধ, যা বলল বাংলাদেশ দূতাবাস সংস্কার বা পরিবর্তন সবকিছু শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরেই : মির্জা ফখরুল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৩৭৩

সকল