আগডুম বাগডুম : কবিতা
- ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
কারিগর
শাহানাজ শিউলী
কত দিকে আছে দেখি কত কারিগর
ইট, পাথরে নকশা করা আছে কত ঘর।
সোনা, রুপা, তামার উপর খোদাই করা কত,
কেটে কেটে নকশা বানায় বাবুই পাখির মত।
কাদার তালে কুমোর বানায় হাঁড়ি-পাতিল, গা
কামার বানায় লোহা দিয়ে কুড়াল, বঁটি, দা।
শিল্পী আঁকে পাহাড়, নদী, ফসল ভরা মাঠ,
নকশা কেটে ছুতোর বানায় ময়ূরপঙ্খী খাট।
মা, বৌ, ঝি হাতে বানায় হরেক নকশি কাঁথা
লেখক, কবি লেখেন বইয়ে কত জীবন কথা।
যন্ত্র দিয়ে তৈরি করে মানুষ, রোবট, গাড়ি
শূন্যপানে প্লেন ওড়ে মাটির পরশ ছাড়ি।
দেহের ভিতর আছে কত যন্ত্রপাতির ঘর
অচল হলে সচল করে দক্ষ কারিগর।
মাটির অতলগহিন থেকে আনে বিভব-ধন,
দেশ -জনতার শুভকামী এরাই আপনজন।
যাদের দানে বিশ্বটা আজ খুলে দিছে দ্বার
সকল সময় মনে রাখি স্মরণ করি তার।
আঁধার ঢেকে আনলো যারা এমন আলোর দিন,
শোধ হবেনা এ জীবনে কারিগরের ঋণ।
শিয়াল মামা
সৌমেন্দু লাহিড়ী
সিংহ দেখে শিয়াল মামা
যেই না উঠে গাছে,
সেথায় দ্যাখে ভূতের পিসি
গাছের ডালে নাচে।
ভয়ের চোটে গাছের থেকে
শিয়াল দিল লাফ,
পড়বি পড় এমন স্থানে
সেখানে ছিল সাপ।
বাপরে ব’লে শিয়াল সটান
এমন দৌড় দিল
যেন শিয়াল অলিম্পিকের
দৌড়বাজ ছিল।
ভারত
আর্জি
নুশরাত রুমু
আল্লাহ আল্লাহ জিকির করি
বান্দা তোমার তরে
পাপের ক্ষমা চাইছি আমি
একা নীরব ঘরে।
তামাম জাহান গড়লে তুমি
ভালোবাসার দানে
সৃষ্টি সেরা করলে মানুষ
বিবেক দিয়ে প্রাণে।
দিনে আলো রাতে আঁধার
আসে সময় গুনে
চন্দ্র-সূর্য ওঠে তারা
তোমার আদেশ শুনে।
আকাশ থেকে বৃষ্টিধারা
ঝরে ধরার বুকে
ফসল ফলাই তারই জলে
থাকি কত সুখে।
তোমার কথা মানার শক্তি
দিও চলার পথে
শোকর যেন করি সদা
তোমার নেয়ামতে।
ছোট্ট তুবা বুড়ি
উসমান আফফান
বাড়ি আঁকে গাড়ি আঁকে
ছোট্ট তুবা বুড়ি,
রংতুলিতে রং মাখিয়ে
অঁাঁকে নাটাই-ঘুড়ি?
লতা আঁকে পাতা আঁকে
আঁকে সবুজ বন,
নতুন নতুন ছবি একে
কাড়ে সবার মন ?
নদী আঁকে নৌকা আঁকে
আরো আঁকে ঢেউ,
তুবার সাথে ছবি এঁকে,
পারে না তো কেউ ?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা