২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

খেজুরের রস পাগল ভূত

খেজুরের রস পাগল ভূত -

আজ সাফিনের মনে খুব আনন্দ। কারণ আজ অনেক দিন পর গ্রাম থেকে তার দাদু এসেছে তাদের বাসায়। সেই যে কবে একবার এসেছিল। দাদু এলে বাসার সবার থেকে সাফিনই বেশি খুশি হয়। কারণ সাফিনকে গল্প শোনানোর মতো বাসায় কোনো মানুষই নেই। মা-বাবা সবসময় নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দাদু এলে দাদুর থেকে সাফিন অনেক অনেক গল্প শোনে। রাজা-রানী, রাক্ষস-খোক্ষস, ভূত-পরী আরো কত্ত রকমের গল্প।
রাতেরবেলা খাওয়ার শেষে সাফিন দাদুর কাছে বায়না ধরলো গল্প শোনানোর। দাদুও আর না করতে পারল না। দাদু বললেন...
‘কী ধরনের গল্প শুনবে বলো তো দাদুভাই?’
‘দাদু আজকে ভূতের গল্প শুনবো। এই শীতের দিনে ভূতের গল্প শুনতে কী যে মজা!’
‘আচ্ছা, তাহলে তোমাকে আমার নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া একটা ভূতের গল্প শোনাই।’
‘তাড়াতাড়ি শুরু করো দাদু।’
‘তখন আমার বয়স সবেমাত্র সতেরো কী আঠারো। শীতকালে আমরা সবাই খেজুরগাছে হাঁড়ি বেঁধে দিতাম। সারা রাত টুপটুপ করে খেজুরের রস পড়তো হাঁড়িতে। সকাল হলে আমরা সেই হাঁড়ি আনতে যেতাম। আমাদের পাঁচটা খেজুরের গাছ ছিল। প্রতিদিন হাঁড়ি বেঁধে দিয়ে আসি আবার সকাল হলে রসভর্তি হাঁড়ি নিয়ে বাড়িতে আসি। একদিন হলো কী সকাল সকাল হাঁড়ি আনতে গিয়ে দেখি হাঁড়িতে কোনো রস নেই। প্রথমে ভেবেছিলাম মনে হয় আজ রস পড়েনি। তাই পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। ও-মা পরদিনও দেখি হাঁড়ি ফাঁকা। এভাবে বেশকিছ দিন ধরে হাঁড়ি ফাঁকা দেখে আমার সন্দেহ হতে থাকলো হাবু মিয়ার ওপর। হাবু ছিল পাশের গাঁয়ের চোর। পরদিন সকালে বুদ্ধি করলাম; বুদ্ধিমাফিক গভীর রাতে খেজুরের গাছের ওপাশে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকলাম আমি। ঠিক যখন রাত বারোটা বেজে গেল। হঠাৎ দেখি খেজুরগাছে টাঙানো হাঁড়ি আকাশে উড়ছে। আর কোথায় থেকে যেন শব্দ ভেসে আসছিল, এঁইঁ গাঁছঁ আঁমাঁরঁ। এঁইঁ রঁসঁ আঁমাঁরঁ। আঁমিঁ ছাঁড়াঁ কেঁউঁ খেঁতেঁ পাঁরঁবেঁ নাঁ। আঁমিঁ হঁলাঁমঁ ভোঁজঁনঁ প্রিঁয়ঁ রঁসঁ পাঁগঁলঁ ভূঁতঁ। আঁমাঁরঁ বাঁবাঁ রঁসাঁলুঁ ভূঁতঁ। হাঁ হাঁ হাঁ! হঠাৎ উধাও হয়ে গেল খেজুরের রসে ভরা হাঁড়ি। এই দৃশ্য দেখে আমি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। চোখ খুলতেই দেখি আমি বাসায়। আর আমার চার পাশে অনেক মানুষ। রাতের ঘটনা সবাইকে খুলে বললাম। কেউ কেউ বিশ্বাস করল। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করল না। কেউ কেউ বলল, ওখানে নাকি রাতে ভূতের আড্ডা বসে। আর তখন থেকেই ওই খেজুরগাছের রস কোনোদিন আমরা কেউ আনতে যাই না।
‘সাফিন তুমি কোথায়?’
‘এই যে লেপের ভেতরে। আমার খুব ভয় করছিল। গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেছিল। ভূতটা যদি তোমার কোনো ক্ষতি করতো?’
‘হ্যাঁ রে দাদুভাই। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। আর একটা ভূতের গল্প শুনবে নাকি?’
‘না, দাদু আর শুনব না। একটা গল্প শুনেই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে আরো শুনলে যে কী হবে আল্লাহই জানে...


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতেছিল আ’লীগ : হামিদ আজাদ ভাইকে হত্যা করাতে ১৪ মাসের ষড়যন্ত্র ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক রনো ও তার পরিবার চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট জনপ্রিয় করার উদ্যোগ

সকল