ইমি ও টিংটিং
- খায়রুল আলম রাজু
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ইমি থাকে সুখীপুরের ছোট্ট একটি গ্রামে। বয়স মাত্র ১২, তবে সে রোবট বানানোয় ওস্তাদ। তার বানানো রোবটের নাম টিংটিং। টিংটিং যেমন চালাক, তেমনি মজার। কথা বলার সময় তার মাথা দুলতে থাকে।
একদিন দুপুরে ইমি তার দাদুর পুরোনো ট্রাঙ্ক ঘাঁটছিল। হঠাৎ সে এক অদ্ভুত কাচের গোলক পেল। গোলকের ভেতরে এক টুকরো গ্রহের মতো কিছু দেখা যাচ্ছিল। ইমির দাদু আবদুল করিম বললেন, ‘এটা অনেক পুরোনো। আমার বাবার কাছে ছিল। কিন্তু এর কী রহস্য, আমি এবং বাড়ির কেউ-ই জানে না।’
ইমি গোলকটি নিয়ে গবেষণা শুরু করল। টিংটিং তাকে সাহায্য করছিল। একদিন ভুল করে সে গোলকের ওপর হাত রাখতেই ঘটে গেল অদ্ভুত ঘটনা। ইমি আর টিংটিং দু’জনেই যেন শূন্যে ভেসে গিয়ে কোথায় চলে গেল।
চোখ খুলে তারা দেখল, তারা এক অদ্ভুত জায়গায়। চারপাশে রঙিন আলো, আকাশে ভাসছে ছোট ছোট দ্বীপ। এখানে বাস করে শিমের দানার মতো ছোট্ট প্রাণীরা। তারা খুবই ভীত আর দুশ্চিন্তায়।
ইমি জানতে চাইল, ‘তোমাদের এত ভয় কেন?’
একটি প্রাণী সামনে এসে বলল, ‘আমাদের গ্রহ গ্যালাক্সিতে শক্তি নেই। সোলার ক্লক নামে একটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সেটিই আমাদের শক্তির উৎস।’
ইমি সাহস দিয়ে বলল, ‘আমি কি তোমাদের সাহায্য করতে পারি?’
প্রাণীগুলো খুশি হয়ে তাকে নিয়ে গেল সোলার ক্লকের কাছে। কিন্তু যন্ত্রটা এক বিশাল পাহাড়ের গুহায় রাখা। গুহার ভেতর আছে নানা ফাঁদ আর ভয়ঙ্কর রোবো ঝড়।
ইমি আর টিংটিং বের হয়ে পড়ল অভিযানে। রোবো ঝড় এড়িয়ে, গুহার অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা ছায়া প্রাণীদের ফাঁকি দিয়ে তারা পৌঁছে গেল সোলার ক্লকের কাছে। টিংটিং তার হাতের লেজার দিয়ে যন্ত্রটা ঠিক করে দিলো।
সোলার ক্লক ঠিক হতেই গ্রহটা আলোয় ঝলমল করে উঠল। প্রাণীগুলো আনন্দে নাচতে লাগল। তারা ইমিকে বলল, ‘তুমি আমাদের বন্ধু, টিংটিং তুমি আমাদের গ্রহের হিরো!’ পরে গ্রহের মানুষের সাহায্যে তারা ফিরে এলো নিজের গ্রামে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা