আগডুম বাগডুম কবিতা
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০২
রস খেতে আয়
শামীম খান যুবরাজ
শীত বসেছে জেঁকে
রস খাবি আয় কে কে?
খোকা-খুকু যত্ত আছে
আয় নিয়ে আয় ডেকে।
টইটম্বুর রসের হাঁড়ি
কানায় কানায় আজ,
কুয়াশাদের চাদর পরে
গাঁয়ের নতুন সাজ
মন খুশিতে ভরে গেল
শিশির ফোঁটা দেখে
রস খাবি আয় কে কে?
অল্প জলে মাছের খোঁজে
বকের আনাগোনা
দোয়েল পাখির শিসটা গাঁয়ের
দারুণ জানাশোনা।
এমন পরিবেশটি ছেড়ে
মন কি কোথাও টেকে?
রস খাবি আয় কে কে?
যতন করে রাখছি হাঁড়ি
কচুপাতায় ঢেকে
রস খাবি আয় কে কে?
রক্ত দিয়ে লিখেছি
কবির মাহমুদ
তোমার বুকে সবুজ শাড়ির টকটকে ওই লালে।
তোমার বুকে উড়ছে নিশান শিমুল রাঙা গালে।
তোমার বুকে জাগ্রত চোখ সুনীল স্বপ্ন আঁকা।
তোমার বুকে শীতজড়ানো উষ্ণ চাদর ঢাকা।
তোমার বুকে ঘুম ভাঙিয়ে উঠছে ভোরের রবি।
তোমার বুকে বর্ষা শরৎ হেমন্তী ভোর ছবি।
তোমার বুকে রাতের আকাশ চাঁদের মাঝে তারা।
তোমার বুকে যাচ্ছে বয়ে পাহাড় ঝর্ণাধারা।
তোমার বুকে পাখির বাসা তোমার বুকে আমি।
তোমার বুকে আমার চলা হীরার চেয়ে দামী।
তোমার বুকে জন্ম আমার তোমার বুকেই মরা।
তোমার বুকে সাজাই আমার জীবন বসুন্ধরা।
তোমার বুকে কান্না হাসি লক্ষ ফুলের ঘ্রাণে।
তোমার বুকে মায়ের আঁচল বাবার রক্ত প্রাণে।
তোমার বুকের পাতায় পাতায় একাত্তরের কথা।
রক্ত দিয়ে লিখেছি সেই প্রিয় স্বাধীনতা।
খাঁচার পাখি
কোমল দাস
একটি পাখি এঁকে মিতু আঁকে পাখির খাঁচা
খাঁচার নিচেই লিখে দিলো বাঁচা আমায় বাঁচা,
তার পরে সে পাখির চোখে এঁকে দিলো জল
এটা দেখে বল্টু বলে করলি একী! বল?
কী কারণে পাখির চোখে কান্না দিলি এঁকে
কী বোঝাতে চাচ্ছিস তুই বলত এটার থেকে?
তোর মতে কি খাঁচার পাখি ভীষণ কষ্টে থাকে
বল দেখি তুই ছবি এঁকে এসব বোঝাস কাকে?
ওই চেয়ে দেখ আমার খাঁচায় কটা পাখি আছে
কোনো অভাব আছে কী না শোন তো ওদের কাছে,
খাবার সাথে অনেক আদর আমরা ওদের করি
মাঝে মাঝে আদর করে বুকে চেপে ধরি।
এটা শুনে মিতু বলে মন দিয়ে শোন ওরে
এতেই পাখি ভালো থাকে কে বলেছে তোরে?
বনেই পাখি ভালো থাকে, ছেড়ে দে ভাই আজ
খাঁচায় রেখে পাখি পোষা নয় তো ভালো কাজ।
আমার সোনার দেশ
নকুল শর্ম্মা
জন্মভূমির মাটি আমার রক্তের দামে কেনা
হাজার নদী পাহাড় ঝর্ণা সবই আমার চেনা।
সোনায় মোড়া এদেশ আমার বিশ্ববাসীর চমক
গ্রামগুলো তার সবুজ শ্যামল অপূর্ব জাঁকজমক।
মাটির মানুষ সহজ সরল মনে প্রাণে খাঁটি
আড়ম্বরে নেইকো ত্রুটি পাতা শীতলপাটি।
আমার দেশের আকাশজুড়ে সাদা বকের সারি
সকাল সন্ধ্যা মনের সুখে জমায় দূরে পাড়ি।
মাঠের রাখাল চড়ায় গরু বসে বটের ছায়ায়
দিনের শেষে ঘরে ফেরে আপন ঘরের মায়ায়।
জারুল ফুলের গাছে গাছে প্রজাপতির মেলা
সবুজ ঘাসে নিত্য চলে ঘাস ফড়িংয়ের খেলা।
ভালোবাসার মহাকাব্য আমার সোনার দেশ
এমন দেশে জন্ম আমার রূপের নাই যে শেষ।
বিজয়ের হাসি
আলিফা তাবাচ্ছুম শিখা
বিজয়ের হাসি
হাসতে গিয়ে
হারিয়েছি লাখো প্রাণ।
বিজয়ের হাসি
হাসতে গিয়ে
দিয়েছি তাজা রক্তের ঘ্রাণ।
বিজয়ের হাসি
হাসতে গিয়ে
চিনেছি শত্রুদল।
বিজয়ের হাসি
হাসতে গিয়ে
দেখেছি বীরের বল।
শীতসকালে
মোজাম্মেল সুমন
শীতসকালে মায়ের ডাকে কাছে যাওয়া,
বকুনি নয়, পিঠা কিংবা ‘বকনি’ খাওয়া ।
সানকি চেটে আরেকটু দাও হতো চাওয়া,
এখন আর হয় না পুরোনো শৈশব পাওয়া!
শীতের ধোঁয়া ওঠা পুকুর জলেও নাওয়া,
গুনগুনিয়ে লেপের ভিতর গানও গাওয়া,
কুহেলিকার দরুন হাতপা মোজায় ছাওয়া,
গ্লাসের গরম জলকে মনে হতো কাওয়া,
কামার হাপর টেনেই লোহা করে তাওয়া,
খেজুর রসের হাঁড়িপাড়া স্মৃতির ধাওয়া,
ভাবতে ভালো লাগে, ধরতে গেলে হাওয়া!
বাবা মায়ের আদর পেয়েই সামনে বাওয়া,
ছোটোবেলা বড়োবেলার সুখের দাওয়া ।
গোসলেরই ফান্দে
মোশাররফ হোসেন
পানি খুবই ঠাণ্ডা
পিঠে পড়ে ডাণ্ডা
গোসলেরই ফান্দে,
শীত কেন এল রে
প্রাণ বুঝি গেল রে
খোকা বসে কান্দে।
পানি আর ঢেলো না
প্রাণ নিয়ে খেল না
দিও না তো বকা,
কেঁপে মজা কী যে
ভিজে দেখ নিজে
রেগে বলে খোকা।
মায়ে বলে থাম রে
উঠাব তোর চাম রে
আজ কোন কাম নেই,
পেয়ে পেয়ে আদর
হয়ে গেছিস বাঁদর
গোসলের নাম নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা