২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চলো আমরা অপরিচিত হই

-

মাঝে মাঝে গলায় বিঁধে যাওয়া মাছের কাঁটার মতো কিছু মানুষের সাথে আমরা বিঁধে যাই। বিড়ালি সতর্কতা ভেদ করে তারা কেমন যেন জুড়ে যায় আমাদের সাথে। আর ওই যে একবার আটকে পড়ে এরপর না যায় আগলে রাখা না যায় একেবারে ছেড়ে ছুড়ে আসা। এরাম একটা কাঁটা বিঁধাইলাম নিজের গলায়ও। অনুভব করি সে আমারে চায় না। সে আমারে শুনে না কিন্তু সে যারে চায় আমি তার একান্তই কাছের। আমার কাছে এলে সে একটু আধটু তার ঘ্রাণ পায় তাই আসে। অজস্র বাহানায় সে তার খোঁজটুকু নিয়ে পুরোপুরি ঠিক বিদেয় হয়ে যায় না, থাকে আরো বেশ কিছুক্ষণ যেন ব্যাপারটা আমার সাথে বেশ প্রাগমেটিক লাগে। তবুও আমি বুইঝ্যা ফেলি কারণ ওই বান্দা সিনেমা টিনেমার লোক হইলেও অভিনয়টা ঠিকঠাক জানে না। বেহুদা এরে সেটা বুঝতে দিয়া অপ্রস্তুত করে তুলি না। এরপরও যখন সে কথা চালায়া যায় আমি তখন এবসেন্ট মাইন্ডেড। সে আমারে শুনবার নাম কইরা তারে শুইনা যায় অথচ আমি অধম শুধু তারে শোনার লাইগাই তার আগ্রহের ‘তারে’ নিয়া আলাপ দীর্ঘ করি অথচ আমার ভেতর আগাগোড়া বৃষ্টি নামে। সে আমারে ধইরাও রাখে না আবার ছাইরাও দেয় না যেন আমি কেউ না।

যারা রাখলেও চলে না রাখলেও চলে। অবশ্য, প্রকাশ্যে সে আমাকে অপছন্দই করে। তা করুক তবে তার চাইতে ভালো হতো যদি সে সিনেমার প্রোডাকশনের কাজ না কইরা অভিনয়টা আত্মস্থ করত! তাইলে এরোর ফ্রি অভিনয়টা চালাইয়া যাইতে পারত আর আমিও প্রেজেন্ট মাইন্ডে আলাপ দীর্ঘ করতাম। তার ‘তার’ সম্পর্কের টানাপড়েনে সে আমার বেশ কাছেই ছিল। এরপর সম্পর্কে একটা স্থিতিশীলতা এলো। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমারেই ভুইলা গেল। আমি তারে ভুলতে না পেরে একগাদা কথা লিখলাম । লেখার শেষে খেয়াল করলাম আমার শুদ্ধ কথন যেমন কইরা তার সংস্পর্শে অশুদ্ধ হইয়া গেল, শুধু তার সাথে আলাপ দীর্ঘকরণের ইচ্ছা আমার কথারেই আঞ্চলিকতার রূপ দিলো। তারে পাইলাম কি না পাইলাম জানি না তবে অনেকখানি সস্তা হইলাম। তার ভাষ্যমতে ন্যাকামি করলাম। যাকগে, আমি হয়তো আর কহনই সস্তা হইয়া দীর্ঘ আলাপে যাবো না। খুব সংক্ষেপে অপরিচিত গলায় আলাপ সাইরা বিদায় হবো অথচ সে এইটা লক্ষ্য না কইরা ভাববে আহারে কি এমন হইলো যে আর তারে নিয়ে আলাপ আগান যায় না!! এইটুকুই!! আমার এক্সিসট্যান্স তার কাছে স্রেফ তার ওই কাছের কেউ হওয়ার সমান। যেন আমি এক আরবান মিডল ক্লাস সুটেড বুটেড চাকরিপ্রত্যাশী কেউ। যেমন খুশি অবহেলা করা যায়, যখন খুশি কটাক্ষ করা যায় যেভাবে খুশি নাচানো যায়। আর আমিও যে খুব বাধ্য। তয় যে তার কাছের জন আমি তারেও খুব ভালোবাসি, সে আমারও খুব কাছের। তথাপি, তারে বলতে মন চায়- চলো আমরা অপরিচিত হই!
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরো সংবাদ



premium cement
ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় মামলা ইরানের কাছে ৩০০ বিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দাবি করল সিরিয়ার নতুন সরকার সচিবালয়ে আগুন : ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৩ মন্ত্রণালয়ের কমিটি নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পরিবারে শোকের মাতম এক কার্গো এলএনজি ও এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দার কারাগারে ছুরিকাঘাতে গাজীপুর মহানগর জামায়াত সেক্রেটারি আহত কুলাউড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন রাখায় ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় বাড়ল দেশে পৌঁছেই যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী অবৈধ বিদেশীদের বৈধতা অর্জনের সময় বেঁধে দিলো সরকার

সকল